শেষ পাওয়া খবর অনুসারে মধ্যপ্রদেশে ভোটদানের চূড়ান্ত হার দাঁড়িয়েছে ৭৬.২২ শতাংশ। যার মধ্যে সিওনি জেলায় ভোটদানের হার সর্বাধিক, ৮৬.৬৮ শতাংশ এবং সবথেকে কম ভোত পড়েছে আলিরাজপুরে, ৬০.১০ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৫.৬ কোটি।
মধ্যপ্রদেশের ২৩০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৭৪.৯৮ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নির্দল সহ মোট ২,৫৩৩ প্রার্থী। এইদিনই ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ভোটদানের হার ৭৪ শতাংশ। যেখানে ৭০ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৯৫৮। এই দুই রাজ্যেই ভোটগ্রহণ হয় গতকাল শুক্রবার।
যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ভোট শতাংশের চূড়ান্ত হারে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সমস্ত রিপোর্ট জমা পড়বে ততক্ষণ পর্যন্ত ভোটদানের সঠিক শতকরা হার স্পষ্ট হবে না।
গতকাল দুই রাজ্যের নির্বাচনে সেরকম কোনো বড়ো ধরণের হিংসার ঘটনা না ঘটলেও বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু জায়গা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের রাজনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কংগ্রেস নেতার সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিশগড়ের গাড়িয়াবান্দ জেলায় বিস্ফোরণে এক আইটিবিপি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ভোটদানের লাইনে দাঁড়িয়ে এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় – দুই রাজ্যেই দুই প্রধান দল কংগ্রেস এবং বিজেপির পক্ষ থেকে তারাই ফের ক্ষমতাসীন হবে বলে দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকার। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা অনুসারে ছত্তিশগড়ে ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার বেশ কিছুটা নিশ্চিন্ত হলেও মধ্যপ্রদেশে এবার পালাবদল হতে পারে।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী শিবনাথ সিং চৌহান এবং কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যদিও মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় – এই দুই রাজ্যের কোনোটিতেই নিজেদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন