শেষলগ্নে উপস্থিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আর বাকি মাত্র দু’দফার ভোট। তার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার চলছে জোর কদমে। শেষ দফা অর্থাৎ সপ্তম দফায় আগামী ১ জুন ভোট মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে। ভোটের আগে নিজের কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল মহিলা উন্নয়নের কথা।
মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার সময় মহিলাদের থালাবাসন বাজানোর অনুরোধ করলেন মোদী। তিনি বলেন, “কুড়ি-পঁচিশ জন মহিলা একত্রিত হন। ড্রাম-থালা বাজাতে বাজাতে ভোটকেন্দ্রে যান। গানও গাইবেন। আমরা যদি প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে সকাল ১০ টার মধ্যে এরকম ২০-২৫ টা মিছিল করতে পারি, তা হলেই ভোটের হার বেড়ে যাবে।”
পাশাপাশি, এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ‘নারী শক্তি সম্মেলন’ –এর প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী দল কংগ্রেস এবং এসপিকে আক্রমণ করতে শোনা যায়। নির্বাচনী সভায় মোদী বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের মানসিকতা বরাবরই নারী-বিরোধী। এই জোটের শরিকরা সংসদে মহিলা সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিল। যখনই এদের সরকার এসেছে, মহিলাদের জীবন কঠিন হয়েছে। বারাণসীর মানুষ তো জানেনই, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের জঙ্গল-রাজের কথা। আমাদের মা-বোনদের ঘরের বাইরে পা ফেলা মুশকিল ছিল। আমাদের কন্যাদের লেখাপড়া ছেড়ে বাড়িতে আটকে থাকতে হত নিরাপত্তার অভাবে।”
দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব বাড়ছে হু হু করে। যা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করছে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি। সেই অভিযোগ প্রসঙ্গে এদিন মোদী বলেন, “কংগ্রেস যখনই আসে, মুদ্রাস্ফীতি হয়। যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকত (গত দশ বছর), আপনাদের রান্নাঘরের বাজেট তিন গুণ বেড়ে যেত। কিন্তু মোদী গরিবের সন্তান। সে সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানোর। মোদী বিনামূল্যে রেশন চালু করেছে, যার ফলে বছরে প্রতিটি পরিবারের ১২ হাজার টাকা বাঁচছে। উজ্জ্বলা সিলিন্ডারের পরিকল্পনায় আপনারা সিলিন্ডার প্রতি ৩০০ টাকার ছাড় পাচ্ছেন।”
এরপরেই মোদী মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য তাঁর সরকারের খতিয়ান তুলে ধরেন। পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, “গত দশ বছরে এই প্রথম সরকারের নীতি এবং সিদ্ধান্তের একেবারে সামনে জায়গা করে নিয়েছেন মহিলারা। আপনারাই বলুন, যখন নারী ছাড়া কোনও সংসারই চলে না, তখন আপনাদের ছাড়া একটা সরকারই বা চলবে কী ভাবে? গত ষাট বছরে এই সহজ কথাটাই সরকারগুলি বোঝেনি। কংগ্রেস-এসপি সরকারেরা কী দিয়েছে মহিলাদের? শুধু অবহেলা আর নিরাপত্তাহীনতা।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন