পঞ্চম দফায় গত সোমবার শেষ হয়েছে হাওড়া কেন্দ্রের নির্বাচন। আর তারপর হাওড়ার পাঁচলায় দেখা গেল বেনজির দৃশ্য। ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ঘর ছাড়া প্রায় ২০০ জন বলে অভিযোগ ওঠে। যার জেরে কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে একটি গ্রাম। আর অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে।
জানা যায়, সোমবার পঞ্চম দফা ভোট চলাকালীন হাওড়া সদরের পাঁচলা বেলডুবি উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ এবং ৭০ নম্বর বুথে দুপুর তিনটে নাগাদ অশান্তি শুরু হয়। স্থানীয়রা জানায়, ওই সময় তৃণমূলের এজেন্টরা ওই দুই বুথে ছাপ্পা দিচ্ছিল। আর বিজেপির দুজন এজেন্ট তার প্রতিবাদ করায় তাঁদের বুথের মধ্যেই বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের সরিয়ে দেয়। এমনকি রাস্তায় বের হলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযোগ ওঠে, ভোট মিটলে রাতে বেলডুবি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ রুহুল আমিন এবং তাঁর দলবল বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়ে পুরুষদের বেধড়ক মারধর এবং ভাঙচুর করে। এমনকি সেদিন রাতে বোমাও পরে এলাকায় বেশ কয়েকটি। এই ঘটনার পরেই আতঙ্কে গ্রাম ছাড়েন ওই এলাকার প্রায় ২০০ জন পুরুষ। আপাতত তারা পাশের এক জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় এলাকার মহিলা বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাদের ওপর অত্যাচারের হুমকি দেয়। এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। অভিযোগের তীর বেলডুবি তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ রুহুল আমিন ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গুলশান মল্লিকের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ ওই দুজনের অত্যাচারে তারা ঘরছাড়া।
যদিও বিজেপি কর্মীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দুই তৃণমূল নেতা। তাদের দাবি, ওই দুই বুথে ছোটোখাট ঝামেলা হয়। কিন্তু পরে সেটা মিটে যায়। বরং বিজেপি কর্মীরা রাতে তার বাড়িতে ইট ছোঁড়ে। সেই কারণেই পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দিয়েছে। তারা নিজেরাই জঙ্গলে আছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের দাবি, পাঁচলায় ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তৃণমূলের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন