“শান্তনু ঠাকুরকে ভোট দেবেন না।“ সম্প্রতি হরিঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের এমনই এক অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। যদিও বিধায়ক এটিকে তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন। (ওই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিও ক্লিপ শেয়ার করা হয়। যেখানে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে, “আমার তো প্রচুর ভোট আছে হেলেঞ্চা, বাগদায়। আমি বলেছি, কেউ শান্তনুকে ভোট দিবি না। ও হচ্ছে মদখোর, গাঁজাখোর। ওর বাবা এখনও গাঁজা ছাড়া বাঁচে না।” অডিও ক্লিপের ওই কণ্ঠস্বর হরিনঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল।
শান্তনু ঠাকুর বনগাঁর বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। দলীয় সাংসদকে নিয়ে অসীম সরকারের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।
যদিও এই অডিও নিয়ে অসীমের ব্যাখ্যা, “২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাকে ভয় দেখিয়ে এই ধরনের কথা বলতে বাধ্য করেছিলেন। ওরা বলেছিল, আমার স্ত্রীকে অনেক দূরের জেলার স্কুলে বদলি করে দেবে। সেই অডিও এখন প্রকাশ করা হচ্ছে। ভোট এলেই এই ধরনের পুরনো রেকর্ডিং ওরা চালাচ্ছে।”
অন্যদিকে, অসীমের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের পাল্টা দাবি, “তৃণমূলের ভয় দেখানোর প্রশ্নই আসে না। এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। তবে উনি হয়তো সঠিক কথাটাই বলে দিয়েছেন।”
শান্তনু ও অসীমের দীর্ঘদিনের কোন্দল কারোর অজানা নয়। দুর্গাপুজোর আগে-পরে দলের উদ্বাস্তু সেলের ব্যানারে শান্তনু এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলকে বাদ রেখেই মিটিং-মিছিল করেছিলেন অসীম সরকার। তবে এ দিন দেবদাস দাবি করেন, “অডিয়োটি ভুয়ো। তৃণমূলের তৈরি। অসীমবাবু দলের বিধায়ক, তিনি সাংসদ সম্পর্কে এমন কথা বলতে পারেন না।”
অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুর এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি জানান, তিনি অডিও ক্লিপটি শোনার পরেই মন্তব্য করবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন