তেলেঙ্গানার চেভেল্লা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বেশ্বর রেড্ডির গত পাঁচ বছরে পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৪১০ শতাংশ। এই মুহূর্তে তাঁর পরিবারের মোট সম্পত্তি ৪,৫৬৮ কোটি টাকা। তবে তাঁদের কোনো গাড়ি নেই। সোমবার জমা দেওয়া মনোনয়ন পত্র থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
২০১৯ সালে কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা ভোটে লড়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর সম্পত্তির মূল্য ছিল ৮৯৫ কোটি টাকা। যদিও সেই ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে বিআরএস-এর হয়ে লড়েছিলেন তিনি।
সোমবার নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন ব্যবসায়ী-ইঞ্জিনিয়র বিশ্বশ্বর রেড্ডি। সেই হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১১৭৮.৭২ কোটি টাকা, যার মধ্যে অ্যাপোলো হাসপাতাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ৯৭৩.২২ কোটি টাকার।
অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা রেড্ডির অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৩,২০৩ কোটি টাকা। সঙ্গীতা রেড্ডি অ্যাপোলো হাসপাতালের যৌথ ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অ্যাপোলো হাসপাতাল, অ্যাপোলো সিন্দুরি হোটেল এবং আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। এছাড়াও তাঁর কাছে রয়েছে ১০.৪০ কোটির বেশি মূল্যের হীরা, মূল্যবান পাথর, সোনা ও রূপোর গহনা রয়েছে।
বিশ্বশ্বর রেড্ডির ছেলে কে. বিরাজ মাধব রেড্ডির অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ১০৭.৪৪ কোটি টাকা।
বিশ্বেশ্বর রেড্ডি স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৭১.৩৫ কোটি টাকা৷ হায়দ্রাবাদ এবং অন্যান্য জেলায় তাঁর একাধিক কৃষি ও অকৃষি জমি, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন রয়েছে। তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৫.৫১ কোটি টাকা এবং ছেলের স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ১.২৭ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী, বিশ্বেশ্বর রেড্ডির অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২২৩ কোটি টাকা। তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৬১৩ কোটি টাকা। তাঁদের ছেলের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকার।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, বিশ্বেশ্বর রেড্ডির বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি মামলায় চার্জশিট গঠন করা হয়েছে। কোনো মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি।
বিশ্বেশ্বর রেড্ডি অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী কোন্ডা ভেঙ্কটা রাঙ্গা রেড্ডির নাতি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কোন্ডা মাধব রেড্ডির পুত্র। চেভাল্লা নির্বাচনী এলাকাটি রাঙ্গা রেড্ডি জেলায় অবস্থিত, জেলাটি তাঁর দাদুর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্বেশ্বর রেড্ডি অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রতাপ সি রেড্ডির জামাতা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন