ধর্মের নামে ভোট চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! এই অভিযোগ তুলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সওয়াল করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। চলতি পাঁচরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদী-শাহ জুটি ধর্মের নাম করে মানুষের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বালাসাহেব-পুত্র। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা নিয়ে কমিশনকেও কটাক্ষ করেছেন ঠাকরে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে বিবৃতি দিতে গিয়ে শিবসেনা (UBT) সুপ্রিমো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহের মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারের কথা তুলে ধরেন। সেখানে বিজেপিকে ভোট দিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয়বার সরকার গড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশের মানুষের কাছে অনুরোধ জানান শাহ। পরিবর্তে রাজ্যের মানুষকে ‘বিনামূল্যে অযোধ্যায় রামমন্দিরে তীর্থ করতে নিয়ে যাওয়ার' প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে একইভাবে রাজ্যের মানুষকে ‘বজরং বলি কি জয়’ স্লোগান তুলে ইভিএম মেশিনে বিজেপির নামাঙ্কিত বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে উদ্ধব এদিন জানিয়েছেন, “অতীতে নির্বাচনের মধ্যে ধর্মকে টানার সাহস কেউ কখনও দেখায়নি। হিন্দু হৃদয় সম্রাট বালাসাহেব ঠাকরে সর্বপ্রথম ‘গর্ব সে কাহো হাম হিন্দু হ্যায়’, ‘মন্দির ওয়াহি বানায়েঙ্গে’ স্লোগান তুলেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে ৬ বছরের জন্য তাঁর ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।”
ঠাকরে আরও জানিয়েছেন, “এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার প্রশ্ন, তার পর থেকে কি নিয়মে কোনোরকম পরিবর্তন করা হয়েছে? এখন কি ভিন্ন মাপকাঠি প্রয়োগ করা হচ্ছে? মোদী-শাহের জন্য কি জাতীয় নির্বাচন কমিশন অন্যরকম নিয়ম চালু করছে? বিজেপি ও অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে এই দ্বিচারিতা কেন?”
ঠাকরে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, "বিজেপি যা করছে তা যদি নির্বাচন কমিশনের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এখন থেকে শিবসেনাও (ইউবিটি) হিন্দুত্বের নামে ভোট চাইতে বা 'ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ কি জয়', 'জয় ভবানী'র মতো স্লোগান দিতে দ্বিধা করবে না।"
এই বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে চলতি বিধানসভা ও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ধর্মের নামে ভোট চাওয়া নিয়ে ‘সাফাই’ চেয়েছেন শিবসেনা (UBT) সম্পাদক অনিল দেশাই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন