চলতি বছরের শেষের দিকেই বিধানসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বাজবে মধ্যপ্রদেশে। সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টি। এবার সেই আসন্ন ভোট নিয়ে নির্বাচনী সংস্থা সি-ভোটারের একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হল। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের মতোই চলতি বছরের নির্বাচনেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাবে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। কোনও দলই বিনাযুদ্ধে পরস্পরকে ‘সূচাগ্র মেদিনী’ও ছেড়ে দেবে না। পাশাপাশি, গত নির্বাচনের মতো এবারও কিংমেকার হতে পারে বহুজন সমাজ পার্টি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ২৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১০৯টি আসন। সেখানে কংগ্রেস এককভাবে জিতেছিল ১১৪টি আসন। তবে ভোট শতাংশের নিরিখে কংগ্রেসকে খুব অল্পের জন্য মাত দিয়েছিল ভাজপা। যেখানে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪০.৯ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়েছিল ৪১ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, বহুজন সমাজ পার্টি পেয়েছিল মাত্র ৫ শতাংশ ভোট। আসন্ন নির্বাচনে বিএসপি-এর সেই ভোট শতাংশ ৫ থেকে কমে ২ হবে বলেই দাবি করেছে সি-ভোটার।
গতবার মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পেয়েও ২টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল বিএসপি। সেই ২টি আসনই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। ১১৪টি আসন জিতেও ম্যাজিক ফিগার ১১৬ অতিক্রম করতে পারেনি কংগ্রেস। কিন্তু পরে বিএসপি-এর সঙ্গে জোট বেঁধে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের নেতৃত্বে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে ২২ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলে কমলনাথের সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। এরপর গেরুয়া শিবির শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে সরকার গড়ে।
এবারও কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কে মধ্যপ্রদেশে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠন করবে তা নিয়ে জোর লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সি-ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভোট শতাংশে আগেরবার দুই দলের মধ্যে যে সূক্ষ্ম ফারাক ছিল, এবারে সেটাও থাকবে না। দুই দলই এবারে ৪৪ শতাংশ করে ভোট পেতে পারে। পাশাপাশি, এবারও বিএসপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সরকার গড়ার ক্ষেত্রে মূখ্য ভুমিকা পালন করবে বলেই মনে করছে নির্বাচনী সংস্থা সি-ভোটার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন