'ভোটে কারচুপি হয়েছে' - হিরণের মামলায় দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের, EVM সহ সমস্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

People's Reporter: শুনানিতে নির্বাচন কমিশনকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ঘাটাল কেন্দ্রে ভোটের সমস্ত কাগজপত্র, বৈদ্যুতিন নথি ও ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেব এবং হিরণ
দেব এবং হিরণ ছবি - সংগৃহীত
Published on

ঘাটালে লোকসভা ভোটে কারচুপি হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় ঘাটালের জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের দেবকে নোটিশ পাঠালো কলকাতা হাইকোর্ট।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। শুনানিতে নির্বাচন কমিশনকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ঘাটাল কেন্দ্রে ভোটের সমস্ত কাগজপত্র, বৈদ্যুতিন নথি ও ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে কারচুপি হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ছাড়াও কোচবিহার, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার এবং আরামবাগ - পাঁচ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়, কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র, ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস এবং আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন।

ওই মামলাগুলি পাঁচ পৃথক বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। হিরণের মামলাটি পাঠানো হয়েছিল বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার।

প্রসঙ্গত, ভোটের দিন থেকেই কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন হিরণ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেও আঙুল তুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন কেশপুরে লুঙ্গি ডান্স করে প্রশাসনের ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। এর জন্য কেশপুরের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।’’ কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হিরণ জানিয়েছিলেন, ‘‘কেশপুরের ৭১ ও ৭৪ বুথের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে তৃণমূল কর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু পর্যবেক্ষক বা রিটার্নিং অফিসার কেউ শোনেননি। সমস্ত ইভিএম মেশিন সিল করে চলে যান। কেশপুরে ২০০ বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল। খুল্লাম খুল্লা ছাপ্পা মেরেছে।’’

দেব এবং হিরণ
‘চক্রব্যূহ’ মন্তব্যের কারণে রাহুলের বিরুদ্ধে ইডি অভিযানের পরিকল্পনা! দাবি খোদ বিরোধী দলনেতারই
দেব এবং হিরণ
খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকে ১৭,৬২৫ পদ খালি, সংসদে জানালেন মন্ত্রী

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in