ভিভিপ্যাট সংক্রান্ত মামলার রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এব্যাপারে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না তারা। যদিও রায় দানের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে চারটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
এত দিন নিয়ম ছিল, প্রতিটি এলাকা থেকে যে কোনও পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে সেখানে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসাব মিলিয়ে দেখা হয়। কিন্তু বিরোধীরা এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তাদের দাবি নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ইভিএম-র সাথে থাকা সমস্ত ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা করতে হবে। এর আগের শুনানিগুলিতে এই বিষয়ে আপত্তিই প্রকাশ করেছিল আদালত। আদালতের কথায়, সমস্ত ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা করতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার ব্যালট পেপারের জমানায় পিছিয়ে যাবে। আর এখন দেশে ভোটারের সংখ্যা ৯৭ কোটি। তাই অনেক সময় সাপেক্ষ বিষয়টি।
আজকের শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, তারা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপও করতে পারে না। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য যদি সত্যিই কিছু করার থাকে, আদালত অবশ্যই তা করবে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে যে ৪টি প্রশ্ন করেছে সুপ্রিম কোর্ট, সেগুলি হল:-
সবক'টি ভিভিপ্যাটেই কি মাইক্রো কন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে?
মাইক্রো কন্ট্রোলারগুলি কি এক বারই প্রোগ্রাম করা যায়?
নির্বাচন কমিশনের কাছে কতগুলি সিম্বল লোডিং ইউনিট রয়েছে?
নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় ৩০ দিন। সমস্ত রেকর্ড ৪৫ দিন পর্যন্ত মজুত করা থাকে। এই ভ্রম সংশোধন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
আদালত জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে সমস্ত তথ্যই জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ সংক্রান্ত বেঞ্চের কাছে যা যা প্রশ্ন ছিল, তার জবাবও পেয়েছে তারা। তবে আপাতত এই মামলার রায় স্থগিত রাখা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন