লোকসভা ভোটের আবহে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ৩০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে তলব করল সিবিআই। যদিও শাসক দল সূত্রে জানা গেছে, তারা কেউই হাজিরা দেননি। পাশাপাশি, তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের আগে বিজেপি ষড়যন্ত্র করে ভয় দেখানোর জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে দলীয় নেতাদের তলব করাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে কাঁথির ৩ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা নন্দ মাইতিকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এলাকারই বাসিন্দা বিজেপির দাপুটে নেতা জন্মেজয় দলুইয়ের। এরপর ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর ওই বিজেপি নেতার মৃত দেহ মিলেছিল ফাঁকা মাঠে। অভিযোগ ওঠে ওই নেতাকে খুন করেছে তৃণমূল নেতারা।
এর পরেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই ঘটনায় কাঁথির ৩০ জন নেতা-কর্মীকে তলব করল সিবিআই। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনাটাকেই বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
যাদের তলব করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে এক জন হলেন কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা দলের শ্রমিক সংগঠনের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিকাশ বেজ। বিকাশ জানিয়েছেন, আপাতত তিনি ভোটের কাজে ব্যস্ত। তাই তিনি ও বাকিরা এই তলবে সাড়া দিতে পারবেন না।
বিকাশ এক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘‘গত ৩ এপ্রিল ১৩ জনকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতায় ডেকেছিল। ৪ তারিখে সকলকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ৪ তারিখে আরও ১৭ জন তৃণমূল নেতাকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়ে ৫ তারিখে ডেকেছিল।’’
বিকাশের বক্তব্য, ‘‘২০২১ সালে এক জন ডাকাতের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে লোকসভা ভোটের সময় জিজ্ঞাসাবাদের কথা মনে পড়েছে সিবিআইয়ের। ওই মামলায় চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছে। এর আগেও ডেকে পাঠিয়েছিল। তখনও কিছু হয়নি। আবার লোকসভা ভোটের সময় এই তলব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সিবিআইয়ের নোটিসের জবাবে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারছি না।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন