রাজ্যে ভোট করতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠভাবে। তার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য পুলিশকেই। ভোট হিংসা নিয়ে নেওয়া হবে জিরো টলারেন্স নীতি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানালেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবারই রাজ্যে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। দুদিন ধরে লাগাতার রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করেছে। পাশাপাশি মুখ্যসচিব, ডিজি, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে।
তার পরই জাতীয় নির্বাচনের মুখ্য কমিশনার রাজীব কুমার হুঁশিয়ারি দেন, রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য পুলিশকেই। কোনও গন্ডগোল হলে দায়ী থাকবেন ডিজিপি। তাঁর কথায়, “এ বিষয়ে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও জানিয়েছি। প্রশাসনের কর্তারাও কথা দিয়েছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভোট করতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও জানান, “আমলাতন্ত্র নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করে না, এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজ্য প্রশাসন এটিও নিশ্চিত করবে যে সব তরফের জন্য নির্বাচনে সমান ভাবে লড়ার সুযোগ যেন তৈরি হয়। আমরা ওঁদের স্পষ্ট বলেছি, এই ব্যাপারে ওঁরা নিজেরা যা যা করার, সে সব তো করবেনই। পাশাপাশি অধস্তনদেরও এই ব্যাপারে সজাগ করবেন। ওঁদের দিয়েও যা করণীয় করাবেন।“
জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের মতে, “ওঁদের অবিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। নিশ্চয়ই ওঁরা এটি করবেন। কোনও কারণে না করতে পারলে আমরা দেখব, কী করা যায়। কিন্তু হিংসা আটকানোর জোরালো ইচ্ছে রয়েছে সকলের। এর পরও হিংসার ঘটনা ঘটলে, জেলা প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে। আর ওঁরা যদি কড়া পদক্ষেপ না করেন, তা হলে আমরা ওঁদের দিয়ে কড়া পদক্ষেপ করাব।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন