লোকসভা ভোটের আগে বাংলার চার বিজেপি নেতাকে বিশেষ নিরাপত্তা দিল কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর, ওই চারজন বিজেপি নেতা হল কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ, বিজেপির কোচবিহারের জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মণ এবং কোচবিহারের বিজেপির এগ্জিকিউটিভ সদস্য তাপস দাস।
এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সদ্য বিচারপতি থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে আসা অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির সুরক্ষা। অন্যদিকে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা অর্জুন সিংকে দেওয়া হয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির সুরক্ষা। এবং বাকি দুই বিজেপি নেতা অভিজিৎ বর্মণ ও তাপস দাসকে দেওয়া হয়েছে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির সুরক্ষা।
লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল থেকে ফের বিজেপিতে এসেছেন অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছেন তিনি। অর্জুনের জন্য কেন্দ্র দিল ‘জেড’ ক্যাটাগরির সুরক্ষা। জেড ক্যাটেগরিতে থাকেন ২২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং ৪-৬ জন সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ কমান্ডো এবং পুলিশকর্মীরা। অর্জুন এই মানের সুরক্ষাই পাবেন। ওই সুরক্ষা বলয়ে তাঁর সঙ্গে থাকবে অন্তত পাঁচটি গাড়ির কনভয়। যার মধ্যে একটি হবে বুলেট প্রুফ। জানা গেছে এই সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রতি মাসে অন্তত ১৫-২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে কেন্দ্রের।
অন্যদিকে, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরি সুরক্ষা। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাঁর সঙ্গে থাকবেন দু’জন কমান্ডো, আট জন জওয়ান এবং অন্তত দু’টি গাড়ির কনভয়। এর জন্য মাসে অন্তত ১২-১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে কেন্দ্রের।
অন্যদিকে, বাকি দুই বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরি সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ওই দুই নেতা প্রায়ই প্রাণহানির হুমকি পান। তার ভিত্তিতেই এই সুরক্ষা বলয়। ওই দুই নেতার সঙ্গে থাকবে দু’জন জওয়ান এবং একটি বা দু’টি গাড়ির কনভয়।
অভিজিৎ এবং অর্জুনকে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে গত ২৭ মার্চ থেকেই। অন্য দিকে, বর্মণ এবং দাস কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন ২৯ মার্চ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন