ভোটের মুখে দলবদল অব্যাহত। রবিবার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন হরিয়ানার হিসারের সাংসদ ব্রিজেন্দ্র সিং। এবার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গেলেন চুরুর সাংসদ রাহুল কাসওয়ানের। সোমবার বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই কংগ্রেসে যোগদান করেন রাহুল। এদিন দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের উপস্থিতিতে হাত শিবিরে যান তিনি।
উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে চুরুতে বিজেপির তরফ থেকে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি রাহুল কাসওয়ানকে। সেই জায়গায় বিজেপি প্রার্থী করেছে প্যারা অলিম্পিকে সোনার মেডেল পাওয়া দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়াকে।
কংগ্রেসে যোগদান করার পর সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, "আমি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, গোবিন্দ সিং দোতাসরা এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাকে কংগ্রেসে যোগদানের অনুমতি দিয়েছেন তাঁরা।"
এরপর বিজেপি ছাড়ার কারণ হিসাবে রাহুল জানান, "রাজনৈতিক কারণে, এই মুহূর্তে আমি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ এবং লোকসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করছি।“ ১০ বছর ধরে মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সাল থেকে চুরুতে কাসওয়ান পরিবার ধারাবাহিকভাবে বিজেপির প্রতীকে জিতে আসছে। ২০০৪ ও ২০০৯ সালে বিজেপির প্রতীকে জিতে পরপর দুবার সাংসদ হন রাম সিং কাসওয়ান। এরপর ২০১৪ ও ২০১৯ সাল, পরপর দুবার লোকসভা ভোটে জিতে ওই কেন্দ্রের সাংসদ হন রাম সিং কাসওয়ানের পুত্র রাহুল কাসওয়ান। টানা ১০ বছর ওই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন রাহুল।
আসন্ন লোকসভায় বিজেপি থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বদলে ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে লড়বেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। প্রার্থী না হতে পেরে সোশ্যাল মিডিয়াতে হতাশা প্রকাশ করে দলকে প্রশ্ন করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেন, “আমার অপরাধ কী ছিল? আমি কি সৎ ছিলাম না? আমি কি পরিশ্রমী ছিলাম না? আমি কি অনুগত ছিলাম না? আমি কি কলঙ্কিত ছিলাম? চুরু লোকসভার কাজ শেষ করতে আমি কি কোনো কমতি রেখেছি?”
বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় রাজস্থানের ২৫ টির মধ্যে ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও ১০ টি আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি আছে বিজেপির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন