শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন। বুধবার সন্ধ্যাতেই দুই রাজ্যে নির্বাচনী কোড অফ কনডাক্ট-এর নিয়ম অনুযায়ী প্রচারে ইতি টানা হয়েছে। কিন্তু মিছিল, জনসভা, পথসভা বন্ধ হলেও ইন্টারনেটে প্রচারে এখনও অব্যাহত। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানায় প্রধান দুই যুযুধান দল, কংগ্রেস ও বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা ঢেলে প্রচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ফেসবুকেই কয়েকলক্ষ টাকা খরচ করে মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার প্রচারে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস।
২০১৪ সাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। সেইসময় সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে দেশজুড়ে গেরুয়া ঝড় তুলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদীর। এরপর সভা, পোস্টার, মিছিল, জনসভা, ব্যানার, পথসভার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াও সমানভাবে ‘প্রয়োজনীয়’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের পাঁচরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি জোর প্রচার চালাচ্ছে সমাজমাধ্যমে। তবে এব্যাপারে ভাজপার থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই কংগ্রেস।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম News18-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় ফেসবুক প্রচারের জন্য খরচের হিসেবে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। যদিও ফেসবুকে ‘ব্যক্তিপ্রচার’-এর হিসেব অনুযায়ী এখনও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছে গেরুয়া শিবির। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত একসপ্তাহে তেলেঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশে ফেসবুক বিজ্ঞাপনের পিছনে কংগ্রেস ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করেছে। যার মধ্যে তেলেঙ্গানায় প্রচারের জন্য খরচ হয়েছে ১৩.২৪ লক্ষ এবং মধ্যপ্রদেশে খরচ হয়েছে ১২.৮৪ লক্ষ টাকা।
অন্যদিকে, বিজেপিও কংগ্রেস-শাসিত ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে ফেসবুক প্রচারের জন্য গত সাতদিনে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। এর মধ্যে ছত্তিশগড়ের ফেসবুকী প্রচারে ভাজপার ঝুলি থেকে খরচ হয়েছে ১৮.৮৯ লক্ষ টাকা এবং রাজস্থানের জন্য খরচ করা হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীর এক সংগঠনও গেরুয়া শিবিরের প্রচারে ৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছে বলে জানা গিয়েছে। আবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অনুগামীদের সংগঠন ‘খাড়গে ফ্যান ক্লাব’-এর তরফেও ভোটের প্রচারে ৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন