Congress: পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি - গুলাম নবী আজাদের বাড়িতে বৈঠকে জি-২৩ নেতৃত্ব

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পরার একদিন পরেই ফের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈঠক জল্পনা বাড়ালো। কংগ্রেসের জি-২৩ নেতারা শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবী আজাদের বাসভবনে মিলিত হন।
কংগ্রেসের জি-২৩ নেতৃত্ব
কংগ্রেসের জি-২৩ নেতৃত্বফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

পাঁচ রাজ্যের সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পরার একদিন পরেই ফের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতৃত্বের বৈঠক জল্পনা বাড়ালো। কংগ্রেসের গ্রুপ -২৩ (জি-২৩) নেতারা শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবী আজাদের বাসভবনে মিলিত হন। এই বৈঠক থেকে ফের কংগ্রেসে নেতৃত্ব বদলের দাবি উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল, মণীশ তেওয়ারি এবং আনন্দ শর্মা আজাদের বাসভবনে যান। সূত্র অনুসারে, আরও অনেকেই এদিনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। ভোটে ভরাডুবির পরে কংগ্রেসের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে এবং জি-২৩ নেতারা দলীয় নেতৃত্বের কার্যপ্রণালীতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বলেও জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, এক বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, "এখন সময় এসেছে যে কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম পরিবারের একপাশে সরে দাঁড়ানোর এবং এক নতুন নেতৃত্বের পথ প্রশস্ত করার। যে নেতৃত্ব দলীয় নেতাদের সাথে ২৪ ঘণ্টা কাজ করবেন। অন্যথায় দেশে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন সম্ভব হবে না।"

কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা আরও জানিয়েছেন, দলের বর্তমান গঠন কার্যকারিতা হারিয়েছে এবং এই পরিকাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। কারণ দল 'কারো সম্পত্তি' নয় এবং কংগ্রেসে প্রত্যেকেরই অংশীদারিত্ব রয়েছে। তাঁরা শচীন পাইলট বা মণীশ তেওয়ারির মতো নেতাদের দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত বলেও পরামর্শ দিয়েছেন।

অতীতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কাজ করা এবং এখন বিদ্রোহী পঙ্কজ শঙ্কর জানিয়”ছেন, "সাম্প্রতিক নির্বাচনে প্রত্যাখ্যানের জন্য জবাবদিহি করা দরকার। আপনারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, এতে কংগ্রেসের কোনো উপকার হয়নি।"

কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরে দলের ফলাফলে ক্ষুব্ধ। কংগ্রেসে সংস্কারের ইস্যু উত্থাপন এবং শীর্ষ পদের জন্য নির্বাচনের দাবি জানানোর পর থেকে জি-২৩ গ্রুপকে দলে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। কিছু জি-২৩ নেতা, যাদের সাথে IANS যোগাযোগ করেছে, তারা ফলাফলের পরের দিন কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং জানান তারা একটি কৌশল তৈরি করার কথা ভাবছেন।

জি-২৩ নেতাদের মতে, সাধারণ মানুষ রাহুল গান্ধীর উপর আস্থা হারিয়েছে এবং এখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দলও নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন দল ভোটের পরাজয়ের বিশ্লেষণ করবে।

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট করেছেন: "আমরা যারা @INCIndia-তে বিশ্বাস করি তারা সকলেই সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলগুলি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কংগ্রেস যে ভারতের পক্ষে দাঁড়াতে পারে এবং দেশকে ইতিবাচক এজেন্ডা দিতে পারে তা পুনরায় নিশ্চিত করার সময় এসেছে৷

তিনি আরও বলেন, "এবং আমাদের সাংগঠনিক নেতৃত্বকে এমনভাবে সংস্কার করা প্রয়োজন যা সেই ধারণাকে পুনরায় আলোকিত করবে এবং জনগণকে অনুপ্রাণিত করবে। একটা জিনিস পরিষ্কার - আমাদের সফল হতে হলে পরিবর্তন অনিবার্য।"

রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার বিজয়ী দলগুলিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, তিনি জনগণের রায় মেনে নিয়েছেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in