নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং কেন্দ্রের 'এক তরফা' নিয়মের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। এই মুহূর্তে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের তিন জনের বেঞ্চে মাত্র একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাঁর আবেদন, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্র নিজের ইচ্ছা মতো আধিকারিক নিয়োগ করতে পারে। অনুপ পাণ্ডের অবসর এবং অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশনের বেঞ্চ এখন মাত্র ১ জন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আছেন। লোকসভা নির্বাচন সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বৈঠকে বসবে। এই প্যানেলে আগে থাকতেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্র নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নির্বাচনে সুবিধা পেতে নিয়োগ করতে পারে। সেটা যেন না হয়।
দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশনস অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্ম অফ অফিস) আইন, ২০২৩-র বিরোধিতা করেই মামলাটি দায়ের হয়েছে। এই আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্যানেলে চেয়ারপার্সন হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। সদস্য হিসেবে থাকবেন সংসদের বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অর্থাৎ তিন সদস্যের নিয়োগ প্যানেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতেই থাকছে। আগে এই প্যানেলে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সম্প্রতি বিল পাস করিয়ে প্রধান বিচারপতিকে প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। নিজের ইস্তফা পত্র পাঠান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সাথে মতবিরোধ হচ্ছিল অরুণ গোয়েলের। সেই কারণেই হয়তো ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন