নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গত ১০ বছরে প্রায় ১৫০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথায় দেড় লক্ষ টাকার বেশি ঋণ। শনিবার এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) এই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
এদিনের এক্স বার্তায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬৭ বছরে দেশের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৫ লাখ কোটি টাকা। গত ১০ বছরে, মোদীজি একাই এটি বাড়িয়ে ২০৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছেন। অর্থ মন্ত্রক বলছে যে ভারত সরকার চলতি অর্থ বছরে ১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিতে চলেছে। কেন?
এদিনের এক্স বার্তায় কংগ্রেস নেত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথায় গড়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এই টাকা জাতি গঠনে কোন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে?
মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে নিজের এক্স বার্তায় প্রিয়াঙ্কা আরও বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। যেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন, এই সময়ে নতুন করে চাকরি কি তৈরি হয়েছে নাকি চাকরি আসলেই হারিয়ে গেছে? কৃষকের আয় কি দ্বিগুণ হয়েছে? স্কুল এবং হাসপাতাল কি আলোকিত? পাবলিক সেক্টর কি শক্তিশালী বা দুর্বল হয়েছে? বড় কারখানা এবং শিল্প স্থাপন করা হয়েছে?
কংগ্রেস নেত্রী জানতে চেয়েছেন, এসব কিছুই যদি না হয়ে থাকে, অর্থনীতির মূল খাতগুলো যদি বেহাল দশায় দেখা যায়, যদি শ্রমশক্তি কমে যায়, ছোট ও মাঝারি ব্যবসা যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথায় গেল? কাদের জন্য এক টাকা খরচ করা হয়েছে? এই টাকার মধ্যে কত টাকা বিলি করা হয়েছে? বড় কোটিপতিদের ঋণ মাফ করার জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে?
প্রিয়াঙ্কা বলেন এত ধার করার পরেও এখন সরকার আবার নতুন করে ঋণ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে যে গত ১০ বছর ধরে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাওয়ার পরিবর্তে যখন বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকটের বোঝা বাড়ছে, তখন বিজেপি সরকার কেন দেশের মানুষকে আরও ঋণের জালে ডুবিয়ে দিচ্ছে?
প্রসঙ্গত গত মাসে বাজেট অধিবেশনে বক্তৃতা দেবার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানিয়েছিলেন, আগামী আর্থিক বছরে অর্থ সংকট মেটাতে সরকার আরও ১৪.১৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের কথা ভাবছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন