ইন্ডিয়া শিবির ক্ষমতায় এলে জাতিভিত্তিক সংক্ষরণ ৫০ শতাংশেরও বেশি করা হবে। এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, এর আগে জনগণনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
রাঁচিতে 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' কর্মসূচী চলাকালীন রাহুল গান্ধী জানান, ‘‘তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং ওবিসিদের সঙ্গে বহু যুগ ধরে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের মতো ব্যবহার করা হয়। দেশের বড় শিল্পসংস্থা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এবং আদালতে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব কম। সরকারের ৯০ জন সেক্রেটারি পদে মাত্র ৩জন ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ। আমরা ক্ষমতায় এলে সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ চালু করব।"
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানো যায় না। তবে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য গুলিতে তার থেকেও বেশি সংরক্ষণের সুবিধা আছে।
রাহুল জানিয়েছেন, ‘‘তেলেঙ্গানার রেভন্ত রেড্ডি সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল জিতলে রাজ্যে জাতভিত্তিক জনগণনা করা হবে। তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানায় ইতিমধ্যেই জনগণনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যের মানুষ জানতে পারবেন মোট জনসংখ্যায় কোন সম্প্রদায়ের কত শতাংশ অংশীদারিত্ব।’’
রাহুল বলেন, ‘‘যদি ‘ইন্ডিয়া’ কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে প্রথমেই জাতগণনা হবে। তফসিলি জাতি-জনজাতি এবং ওবিসিদের জন্য ৫০ শতাংশের সংরক্ষণের সীমারেখা তুলে দেওয়া হবে।’’
সোমবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেকে অন্য অনগ্রসর অংশ (ওবিসি) বলে দাবি করতেন ভোটের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু যখন ওবিসি’দের প্রকৃত সংখ্যা জানার দাবিতে আমরা জাতভিত্তিক জনগণনার ডাক দিলাম, তখন তিনি বলতে শুরু করলেন-দেশে কেবলমাত্র ২টি জাতি। ধনী এবং গরীব।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন