ছত্তিশগড়ে ঘরোয়া কোন্দল মেটানোর পর এবার কংগ্রেসের নজরে রাজস্থান। পাইলট বনাম গেহলট দ্বন্দ্বে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজস্থান কংগ্রেসে অশান্তি চলছে। ভোটমুখী রাজ্যে সেই সমস্যা মেটাতে এবার বৈঠকে বসলো কংগ্রেসের উচ্চতর নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার রাজস্থান প্রশ্নের মীমাংসা করতে আপাতত চলছে সেই বৈঠক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দিল্লীর এই বৈঠকে জয়পুর থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন।
সূত্র অনুসারে, এই বৈঠক থেকেই বিক্ষুব্ধ শচীন পাইলটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে রাজস্থান কংগ্রেসের কাছে শচীন পাইলটের ক্ষোভ প্রশমনই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন।
রাজস্থান কংগ্রেসের সরকারের বিরুদ্ধে যে যে দাবি তুলেছিলেন শচীন পাইলট তার মধ্যে কিছু বিষয়ে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন অশোক গেহলট।
যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে শচীন পাইলটকে রাজ্যে না রেখে জাতীয় স্তরে নিয়ে আসা হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্য রাজনীতিতে তার ক্ষোভ কমানো যেতে পারে।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পর এই মুহূর্তে আর কোনও রাজ্যই হাতছাড়া করতে চাইছে না কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে শচীন পাইলটের ক্ষোভ কমানোতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। যদিও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে শচীন পাইলটকে নিয়ে এলে কংগ্রেসে তাঁকে কোন ভূমিকা পালন করতে দেওয়া হবে?
অন্যদিকে যদি শচীন পাইলট রাজ্য রাজনীতিতেই থাকেন সেক্ষেত্রে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী অথবা অন্য কোন পদ দেওয়া হবে?
এক্ষেত্রে রাজস্থানের রাজনীতিতে জাতপাতের ভূমিকাকেও গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে হবে। কারণ মূলত জাঠ, মীনা, রাজপুত এবং গুজ্জররাই রাজস্থানের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেখানে জাঠের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ, মীনারা ৭ শতাংশ, রাজপুতরা ৬ শতাংশ এবং গুজ্জররা ৫ শতাংশ।
শচীন পাইলট গুজ্জর জনগোষ্ঠী থেকে এসেছেন। রাজস্থানে এই চার জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ এলাকাতে প্রত্যেকেই শক্তি দেখিয়ে থাকেন। বিগত ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর শচীন পাইলটের মুখ্যমন্ত্রী হবার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। যা নিয়ে প্রথম থেকেই গেহলট বনাম পাইলট শিবিরে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। ২০২০ সালে বিদ্রোহ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন শচীন পাইলট। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কীভাবে এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে পারে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন