বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, দেশ থেকেই কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবির বলতে আর কোনও অস্তিত্বই নেই। এই পরিস্থিতিতে হয়তো রাজনীতির নিয়ম মেনেই দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ করে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা বাড়ছে কংগ্রেসের অন্দরে।
সময়ের প্রক্ষাপটে যতই দেশীয় রাজনীতিতে নিজেদের ক্ষমতা কমে গিয়েছে, ততই কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সবাই ধরে নিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হাত ধরে কংগ্রেসের অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে রাহুল গান্ধীর থেকেও খারাপ ফলাফল হল কংগ্রেসের।
এই পরিস্থিতিতে ফের একবার দলের অন্দরে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। পাঁচটি রাজ্যেই দলের হারের পর তিনি বলেন, ‘পুরনো ঐতিহ্য ও সোনালি দিনগুলি ফিরে পেতে দলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।’
কংগ্রেসের অন্দরে গত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে বিক্ষুব্ধ নেতাদের সংখ্যা। থারুরের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তিনি এবার বিক্ষুব্ধদের তালিকাতেই নাম লেখালেন। এই বিপুল পরাজয়ের পিছনে শীর্ষ নেতৃত্ব যে যুক্তি দিয়েছেন, তা তিনি মানতে রাজি নন। বরং তিনি দলের অন্দরে কীভাবে, কী পরিবর্তন ঘটানো যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন।
দীর্ঘ টুইটে থারুর বলেন, 'আমরা যারা জাতীয় কংগ্রেসে বিশ্বাস রাখি, তারা সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দুঃখ পেয়েছি। কংগ্রেস যে ভারতের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী, সময় এসেছে তা পরিবর্তন করার। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বে এমনভাবে পরিবর্তন আনতে হবে, যা ফের জনসাধারণ অনুপ্রাণিত করবে। সাফল্য চাইলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।'
পরবর্তী টুইটে তিনি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন। কিন্তু নেটিজেনদের কাছে নজর কেড়েছে শশী থারুরের ওই টুইট। উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা জয়বীর শেরগিলও টুইট করেছিলেন যে, 'হার হারই হয়। এর ব্যাখ্যা নেই। তাই ভোট ভাগাভাগি, কম ব্যবধানে হারের মতো কথা না বলাই ভাল। জনতার মতামত ও কিন্তু-যদি বাদ দিয়েই হার স্বীকার করে নেওয়া উচিত। এটাই পরিবর্তনের প্রথম পদক্ষেপ।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন