দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সোমবার ২২ জন নেতাকে সাসপেন্ড করল মহারাষ্ট্র কংগ্রেস। আগামী ছ’বছরের জন্য ওই ২২ জন নেতাকে সাসপেন্ড করেছে দল। সাসপেন্ডের তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র মুলকও।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী করেনি ওই ২২ জনকে। বিক্ষুব্ধ নেতারা দলীয় আদেশ অমান্য করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, বিরোধী জোট ‘মহা বিকাশ আঘাড়ি’ মনোনীত প্রার্থীদের জয়ের পথে কাঁটা হতেই নির্দল হয়ে লড়াই করছেন ওই ২২ জন।
সাসপেন্ড হওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র মুলক। রামটেক আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। এছাড়া তালিকায় রয়েছেন যাজ্ঞবল্ক জিচকর, যিনি কটোল কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন। রয়েছেন কসবা থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া কমল ব্যওয়ারে, কোপরি পাচপাখাদি কেন্দ্রের প্রার্থী মনোজ শিন্ডে ও সুরেশ পাটিল এবং পার্বতী কেন্দ্র থেকে আব্বা বাগুল৷
বাকি সাসপেন্ড নেতারা হলেন - আনন্দরাও গেদাম, শিলু চিমুরকার, সোনাল কোভে, ভারত ইরেমে, অভিলাশা গাভাতুরে, প্রেমসাগর গনভীর, অজয় লাঞ্জেওয়ার, বিলাস পাটিল, আসমা জাভেদ চিখলেকার, হংসকুমার পান্ডে, মোহনরাভ দান্ডেকর, মঙ্গল বিলাস ভুজভাল, বিজয় খড়সে, শবীর খান, অভিনাশ লাড এবং রাজু ঝোড়ে।
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। এক দফাতেই ২৮৮ আসনে নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণা ২৩ নভেম্বর।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৫ টি আসন, শিবসেনা ৫৬ টি এবং কংগ্রেস ৪৪ টি আসন জিতেছিল৷ তার আগে ২০১৪ সালে বিজেপি ১২২ টি আসন, শিবসেনা ৬৩ টি এবং কংগ্রেস ৪২ টি আসন পেয়েছিল৷ এবার পরিস্থিতি অনেক পালটে গিয়েছে। শিব সেনা এবং এনসিপি দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। শাসক এবং বিরোধী উভয় জোটে একটি করে দল রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন