কর্ণাটকের (Karnataka) নির্বাচনী প্রচারে এসে ‘বিদ্বেষমূলক ভাষণ’ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda) ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বিজেপি’র এই শীর্ষ তিন নেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়গের দল।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার, নির্বাচন কমিশনের সাথে দেখা করেছেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন (Ajay Maken), বিবেক তানখা (Vivek Tankha), সালমান খুরশিদ (Salman Khurshid) এবং পবন খেরা (Pawan Khera)। নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে বিজেপি নেতাদের ‘বিদ্বেষমূলক মন্তব্য’ (Hate Speech)-র বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিবেক তানখা বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন, যা দেশের মেরুকরণ এবং সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে...। সংবিধানে এমন কোনো বিধান নেই যে, যেখানে তিনি এই ধরনের কথা বলতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছি।'
'কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ভারতে দাঙ্গা হবে'- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কথার অর্থ কী, সেই প্রশ্ন তুলে বিবেক তানখা বলেন, 'তিনি কী বলতে চাচ্ছেন - কংগ্রেস দাঙ্গা ঘটাচ্ছে...। আসল কথা হল, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের এই ধরনের বিদ্বেষমূলক ভাষণ দেওয়া উচিত নয়। এটি আইন বিরুদ্ধ কাজ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'
আগামী সপ্তাহেই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটপ্রচারে সরগরম দক্ষিণের রাজ্য। তার ঠিক আগেই বিদ্বেষমূলক মন্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, বিদ্বেষমূলক (Hate Speech) ভাষণের ক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিত (Suo Motu) মামলা করতে সম্প্রতি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ ক্ষেত্রে মামলা দায়েরে দেরি হলে, তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
গত শুক্রবার, ২০২২ সালের নির্দেশের পরিধি প্রসারিত করে বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ দায়ের না-হলেও বিদ্বেষমূলক (Hate Speech) ভাষণের ক্ষেত্রে ধর্ম না দেখে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে চটজলদি মামলা দায়ের করতে হবে সরকারকে। এমনকী, মামলা দায়ের করতে দেরি হলে তা আদালত অবমাননা বলে ধরা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন