হিমাচল প্রদেশে ভোট মিটেছে, দল জিতেছে, ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে কংগ্রেস। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কাকে বসানো যায়, তা ঠিক করতে জেরবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তিনিই ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রীর নাম।
জানা যাচ্ছে, হিমাচল প্রদেশে দলের জয়ের কৃতিত্ব ও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার তিনজন। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা, দলের নেতা তথা বিধায়ক সুখিন্দর সিং সুখু এবং মুকেশ অগ্নিহোত্রী। তিনজনই রয়েছেন কুর্সির লড়াইয়ে। প্রতিভা সিং বর্তমানে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডির এমপি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার চাপ থাকলেও, বাকি দু’জন যে চুপ করে থাকবেন না, তাও জানেন কংগ্রেসের নয়া সভাপতি মল্লিকাজুন খাড়গে। তাই রাজ্য জিতলেও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে চাপে রয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায়, সিমলায় দলের ঐতিহ্য মেনে একটি রেজোলিউশন পাস করেছেন রাজ্যের ৪০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেস ‘হাইকমান্ড’ কে অনুমোদন দিয়েছেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, রবিবারের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা যাচ্ছে, এদিনের সিমলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসর কেন্দ্রীয় অধ্যক্ষ রাজীব শুক্লা, ভূপিন্দর হুডা ও হিমাচল প্রদেশের ইনচার্জ তথা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশে দলের নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজ্যজুড়ে প্রচারের পাশাপাশি ৮ টি জনসভা করেছেন তিনি। আর তাতেই বাজিমাত। মূলত, তাঁর নির্বাচনী কৌশলের জেরে বিজেপির থেকে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। তাই, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে হবে, সেই বিষয়টি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে, দলীয় সূত্রে খবর।
সিরমোর, কাংড়া, সোলান, উনাইয়-সহ একাধিক জায়গার সমাবেশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সব জায়গাতেই কেন্দ্রের ঘোষিত ‘অগ্নিপথ’, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং পুরানো পেনশন প্রকল্প নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে ভোটের লড়াইয়ে নেমে ৪০৩ টি আসনের মধ্যে মাত্র ২ টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। সেই ক্ষতে অনেকটাই প্রলেপ দিল হিমাচল প্রদেশ । তাঁর সঙ্গে এই সাফল্যের অংশীদার রাজীব শুক্লাও। কারণ, তিনিই এখন হিমাচলে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশে সাধারণত রাজপুত বা ঠাকুর সম্প্রদায় থেকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হন৷ এক্ষেত্রে লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রতিভা সিং ও সুখবিন্দর সিং সুখু৷ আর, ঠাকুর বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়, সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন ব্রাহ্মণ নেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী৷
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন