২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করবে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলাকালীন রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় এক সমাবেশে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, "দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বেকারত্ব।"
দেশের যুবকদের হাতে কাজ তুলে দিতে মোদী সরকার যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, সেকথাই এদিন সমাবেশে বার বার উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, "প্রথমত, আমরা মূল্যায়ন করে দেখেছি দেশে এখন ৩০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। এই শূন্যপদে নিয়োগের ব্যবস্থা করেনি মোদী সরকার। ক্ষমতায় এলে আমাদের প্রথম কাজ হলো ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করা।“
রাহুল আরও বলেন, “দ্বিতীয় বিষয় হবে রেগাকে আবার চাঙ্গা করা। এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ বেকারের কাজ জুটবে। শিক্ষানবিশের অধিকার দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ করা হবে সমস্ত স্নাতক এবং ডিপ্লোমা প্রাপ্তদের। প্রতিটি স্নাতককে সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে শিক্ষানবিশ হিসাবে নিযুক্ত করা হবে। এরই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা তাঁরা পাবেন। তাঁরা এক বছর ধরে প্রশিক্ষণ পাবেন এবং এক বছর পর চাকরি পাবেন। এই বিষয়টি অনেকটা রেগার মতো অধিকার। এর ফলে দেশের কোটি কোটি বেকার উপকৃত হবেন।"
গিগ কর্মীদের প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, "চালক, নিরাপত্তা রক্ষী থেকে ডেলিভারি বয়-সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার এঁদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করেছিল। এর মধ্যে পেনশন সহ অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষার উল্লেখ আছে।"
গত মাসেই উত্তর প্রদেশে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ফলে বঞ্চিত হয়েছেন ৫০ লক্ষ যুবক-যুবতী। সেপ্রসঙ্গ টেনে রাহুল গান্ধী এদিন বলেছেন, "কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে নিয়োগ পরীক্ষাকে একটা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। পরীক্ষার যাবতীয় আউটসোর্সসিং বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরীক্ষা নেবে শুধুমাত্র সরকারি দপ্তর। কোনও বেসরকারি দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হবে না।”
জাতগণনার বিষয় প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, "এদেশে বৃহৎ সংখ্যক অধিবাসী মূলত ওবিসি, আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু এবং সাধারণ গরিব মানুষ তাঁদের প্রাপ্য অংশীদারিত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। ফলে জাতগণনা প্রয়োজন এই বৃহৎ সংখ্যক জনসংখ্যার প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে। ক্ষমতায় এলে প্রথম জাতগণনার কাজে হাত দেওয়া হবে।"
একথা বলতে গিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অয্যোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "এখনও দেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি নেই। তিনি আরও বলেন, মন্দির উদ্বোধনে কোনও গরিব, কৃষক কিংবা শ্রমিকদের দেখা যায়নি। অথচ বলিউড তারকা আর মোদী-ঘনিষ্ঠ পুঁজিপতিদের ভিড় দেখা গিয়েছে।"
তাঁর অভিযোগ, "দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করছে মাত্র ৫ শতাংশ। আর ৯০ শতাংশই কাজ করছে শ্রমিক হিসাবে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন