মধ্যপ্রদেশে ১৪৫ থেকে ১৫০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেস। এমনটাই দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বিদিশা-য় এক নির্বাচনী জনসভায় রাখতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “আমি মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে গেছি। আমি বলতে পারি, কংগ্রেস কমপক্ষে ১৪৫ থেকে ১৫০ আসনে জয়ী হয়ে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতাসীন হবে। রাজ্যের সাধারণ মানুষ তাঁদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে কংগ্রেসকে ভোট দেবেন বলে মনস্থ করেছেন।”
এদিনের জনসভায় রাহুল আরও বলেন, “২০১৮ সালে মানুষ কংগ্রেসের পক্ষে রায় দিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সেই জনমতের তোয়াক্কা না করে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটায়। রাজ্যের মানুষ এবার সেই ঘটনার জবাব দেবার জন্য প্রস্তুত।”
এদিন কংগ্রেস সাংসদ বলেন, মধ্যপ্রদেশের মানুষ এবার কংগ্রেসকে আরও বেশি আসনে জয়ী করবেন। কারণ বিজেপি রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। বিজেপি রাজ্যের যুবদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। সেই কারণেই মানুষ এবার জবাব দেবে।
এদিনের নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গান্ধী কৃষকদের উন্নয়নের পাশাপাশি, যুবকদের কাজের ওপর জোর দেন। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের সমস্ত মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন। কংগ্রেসের সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়ের মানুষ জানে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কীভাবে উন্নয়ন হয়। তাই মধ্যপ্রদেশের মানুষ এবার কংগ্রেসকে জয়ী করবেন।
এদিন রাহুলের বক্তব্যে উঠে আসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের ছেলের ভিডিও প্রসঙ্গ। যে ভিডিওতে টাকা লেনদেনের কথা শোনা গেছে। এই ভিডিও প্রসঙ্গে এদিন রাহুল বলেন, আপনারা নিশ্চই মন্ত্রীর ছেলের ভিডিও দেখেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব। এখন কেন তিনি তোমরের বাড়িতে ইডি, সিবিআই পাঠাচ্ছেন না?
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে নরেন্দ্র সিং তোমরের দ্বিতীয় ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে কয়েকশো কোটি টাকা লেনদেনের কথা শোনা গেছে। ওই ভিডিও কলিং-এর বক্তব্য অনুসারে চন্ডীগড়ের এক সিএ-এ মাধ্যমে প্রতি মাসে টাকার লেনদেনের কথা হয়েছে। যেখানে ৫০ কোটি থেকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের কথোপকথন শোনা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন