পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর একপ্রকার ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। জাতীয় রাজনৈতিক দলের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে যে, দল বাঁচাতে কি তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বদল দরকার? সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পরিবর্তে নতুন কোনও মুখে তুলে আনা দরকার?
আজ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকের আগে নেতৃত্ব নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটালেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি জানান, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। তার জন্য তাঁদের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী এখন কংগ্রেসের কোনও পদে নেই। সোনিয়া গান্ধী দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী। ২০২০ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বে বদল চেয়ে ‘G-23’ -র নেতারা সোনিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁরা দলের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকও করেন।
ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা শুরু হয়ে যায়। একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছিল, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং উত্তর প্রদেশের দায়িত্বে থাকা এআইসিসি (AICC) সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদ ছাড়তে চলেছেন। এই প্রতিবেদনটি ‘ভুল’ ও ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশে এরকম জল্পনা বলে কংগ্রেসের মুখপাত্র জানান।
জানা যাচ্ছে, এদিনের বৈঠকে পাঁচ রাজ্যের ভরাডুবির চুলচেরা বিশ্লেষণ চলবে। চলতি বছরের শেষের দিকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত সোনিয়া। কংগ্রেস জানিয়েছে, আগামী ২১ অ্যাগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআইসিসি সভাপতি পদের নির্বাচন হবে।
প্রসঙ্গত, ভোটের পরাজয়ের পরে কংগ্রেসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ‘G-23’ নেতারা দলীয় নেতৃত্বের কার্যপ্রণালীতে রীতিমত বিরক্ত। ‘G-23’ এক নেতার কথায় –“কংগ্রেসের প্রথম পরিবারটির সরে যাওয়ার সময় এসেছে। একটি নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন, যারা দলীয় কাজের জন্য ২৪ ঘন্টা কাজ করবে। অন্যথায় দেশে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন হবে না।”
কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা আরও জানিয়েছেন, দলের বর্তমান গঠন কার্যকারিতা হারিয়েছে এবং এই পরিকাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। কারণ দল 'কারো সম্পত্তি' নয় এবং কংগ্রেসে প্রত্যেকেরই অংশীদারিত্ব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরে পরিবর্তনের জন্য মুখ খুলেছেন শশী থারুরও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন