প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করা 'সংখ্যালঘু এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে সম্পদের বন্টন' মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো কংগ্রেস। ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে মোদীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে হাত শিবির।
রাজস্থানে করা নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ইন্ডিয়া মঞ্চের দলগুলি। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় চিঠি দিল কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রে খবর, চিঠিতে বলা হয়েছে, "আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ বিদ্বেষপূর্ণ এবং নজিরবিহীন। তিনি বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি করতে চাইছেন। ভারতের একজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এইধরণের কথা শোনা খুবই ভয়ঙ্কর ও নিন্দনীয়। এটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে, জবাব দিতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে।"
কমিশনের সাথে আলোচনার পর কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, আমাদের সময় দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানে নির্বাচনী বক্তব্য রাখছিলেন। যা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। যেখানে বলা হয়েছে ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশের সম্পদ বিলিয়ে দেওয়া হতে পারে। সম্প্রদায়টি আবার অনুপ্রবেশকারীও বটে। ওঁর এই বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম বহির্ভূত।"
প্রসঙ্গত, রবিবার নির্বাচনী পরচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, 'কংগ্রেসের ইশতেহারে বলা হয়েছে যে মা বোনেদের কাছে থাকা সোনার হিসেব করবে কংগ্রেস। তারপর সেই সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়া হবে। এই শহুরে নকশালরা মা, বোনেদের মঙ্গলসূত্রও ছাড়বে না। কাদের মধ্যে সেই সম্পত্তি ভাগ করা হবে জানেন? মোনমোহন সিং-র সরকার বলেছিল দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের প্রথম অধিকার। এর মানে তারা এই সম্পদ বিতরণ করবে যাদের বেশি সন্তান আছে, সেই অনুপ্রবেশকারীদের কাছে।"
কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্যকে "ঘৃণাত্মক বক্তৃতা" হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “ক্ষমতা অর্জনের জন্য মিথ্যা বলা এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার জন্য ভিত্তিহীন কথা বলা সঙ্ঘ এবং বিজেপির প্রশিক্ষণের বিশেষত্ব। এই দেশের ১৪০ কোটি মানুষ এই মিথ্যায় ভুলবে না। আমাদের ইশতেহার প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য, এটি সবার জন্য সমতা ও ন্যায়বিচারের কথা বলে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন