বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সুরাটের বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। তারপর থেকেই কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি দলের। তবে অন্য একটি সূত্র মারফত খবর, হাত ছেড়ে পদ্মে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি।
কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন খারিজ হওয়ার পর বিজেপির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। ২২ তারিখই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দেখা যায় বিএসপি এবং নির্দল প্রার্থী সহ ৮ প্রার্থীও নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তারপরই জয়ী ঘোষণা করা হয় বিজেপি প্রার্থীকে।
বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করছে। এমনকি জানা যাচ্ছে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানী শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নীলেশের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা 'জনতা কা গদ্দার' লেখা পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
বিজেপির এই জয়ের পরই গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সি আর পাটিল এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছিলেন, 'এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রথম পদ্ম উপহার দিল সুরাট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার জন্য আমাদের সুরাটের বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালালকে অভিনন্দন জানাই'।
উল্লেখ্য, প্রথমে সুরাট কেন্দ্রে কংগ্রেসের তরফ থেকে নীলেশ কুম্ভানীকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। কিন্তু প্রস্তাবকের সই বিভ্রান্তির কারণে তাঁর মনোনয়ন খারিজ করেন রিটার্নিং অফিসার।
বিকল্প প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পদশালার নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। প্রস্তাবকের সই জাল করার অভিযোগে তাঁর মনোনয়নও খারিজ করেন রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি।
সৌরভ পারধির অভিযোগ, কংগ্রেস প্রার্থীর প্রস্তাবকরাই তাঁকে জানান যে তাঁরা কোনো স্বাক্ষর করেননি। ওই সই জাল করা হয়েছে। যদিও এই সই জালের অভিযোগ প্রথম করেন সুরাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালালের নির্বাচনী এজেন্ট।
সুরাট কেন্দ্রটি ১৯৮৯ সাল থেকে জিতে আসছে বিজেপি। ১৯৮৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন কাশীরাম রানা। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন দর্শনা বিক্রম জারদোশ। ২০২৪ সালেও সেই জয়ের ধারা বজায় রাখলো বিজেপি
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন