লোকসভা, বিধানসভা এমনকি পৌরসভাতেও কার্যত শূন্য (তাহেরপুর ছাড়া) বামেরা। চব্বিশের লোকসভায় সেই শূন্য দশা কাটাতে মরিয়া বাম। সঙ্গী কংগ্রেস। ১৯ –এর লোকসভায় দুটি আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, রাজ্যের মোট ১২ টি আসনে বাড়তি নজর দিচ্ছে বাম-কংগ্রেস। বাম সূত্রে জানা গেছে, ঠিকঠাক ভোট হলে এই ১২ টির মধ্যে একের বেশি আসনে জিততে পারে তারা।
সিপিআইএম সূত্রে জানা গেছে, সমস্ত দিক বিচার করে রাজ্যের মোট ১২ টি আসন চিহ্নিত করেছে তারা। এই আসনগুলিতে বাড়তি নজরদারি দেওয়া হচ্ছে। এর ১২ টি আসনের মধ্যে উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে ৬টি আসন রয়েছে। সিপিআইএম ও কংগ্রেসের দাবি, ভোট ঠিকঠাক হলে, এর মধ্যে ৪ টি আসন - রায়গঞ্জ, মালদহ দক্ষিণ, বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদে জিততে পারে তারা।
অন্যদিকে, শ্রীরামপুর, যাদবপুর ও দমদমও রয়েছে এই তালিকায়। দমদমে লড়ছেন অভিজ্ঞ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। অন্যদিকে, যাদবপুর ও শ্রীরামপুরে বামেদের প্রার্থী হয়েছেন ছাত্র নেতার দুই পরিচিত মুখ সৃজন ভট্টাচার্য ও দীপ্সিতা ধর। অন্যদিকে, বীরভূম, কৃষ্ণনগর ও আসানসোলের মতো কেন্দ্র নিয়েও আশাবাদী সিপিআইএম।
আলিমুদ্দিন স্ট্রীট আরও মনে করছে, কিছু কেন্দ্রে ভোট হবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের। বিজেপি তৃতীয় স্থানে থাকবে সেখানে।
যদিও বাম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকই। তৃণমূলের দাবি, সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে সমর্থন করা।
এই নিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সেলিমের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলের দুর্নীতি এবং দুষ্কৃতী-রাজ থেকে বেরিয়ে রাজ্যে সুষ্ঠু রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে বামেদের পুনরুত্থান ঘটাতেই হবে!’’ একই লক্ষ্য সামনে রেখে অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘বিজেপি এবং তৃণমূল ভোটের জন্য যে কোনও কিছুই করতে পারে, জানি। আমরা নাটক করতে জোট করিনি!’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন