কে হবেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী মুখ? সি-ভোটারের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে, রাহুলের বদলে বিরোধী মুখ হিসেবে মানুষের প্রথম পছন্দ বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সুরাত আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আগেই লোকসভার সাংসদ পদ হারিয়েছেন সোনিয়া-পুত্র। এরপর যদি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও রাহুল না লড়তে পারেন, তাই বিরোধী মুখ হিসেবে গান্ধী পরিবারের আরেক সদস্য প্রিয়াঙ্কাকেই মানুষ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছে বলে জানা গিয়েছে সি-ভোটারের সমীক্ষায়।
সম্প্রতি বেসরকারী নির্বাচনী সংস্থা সি-ভোটার প্রায় ৪০২৯ জন মানুষের মতামত সংগ্রহ করে ভারতে রাজনৈতিক সমীকরণে আমূল বদল নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট উত্তরদাতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষই সোনিয়া-পুত্রের জায়গায় বিরোধী মুখ হিসেবে সোনিয়া-কন্যাকে পছন্দ করেছেন। প্রিয়াঙ্কার পরেই বিরোধী মুখ হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মোট উত্তরদাতার প্রায় ১৩.৯ শতাংশ মানুষ কেজরিওয়ালের পক্ষে মত দিয়েছেন।
এই তালিকায় তৃতীয় সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার, তিনি পেয়েছেন মোট উত্তরদাতার ১৩.৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১০.৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। যদিও এই সমীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারীর ৩০ শতাংশ মানুষ হয় এই নিয়ে কিছু জানেন না অথবা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এক হয়েছে দেশের ২৬টি বিজেপি বিরোধী দল। মঙ্গলবার ব্যাঙ্গালুরুতে সেই মহাজোটের দ্বিতীয় বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন ২৬টি দলের প্রধানরা। স্বাভাবিকভাবে ২০২৪ সালের লোকসভায় বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে কাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে তা নিয়ে দেশের রাজনীতিতে যথেষ্ট জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাহুল গান্ধীর নাম উঠে আসলেও ‘মোদী’ পদবী মামলায় এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিপাকে রয়েছেন তিনি। এই মামলায় সুরাত হাইকোর্ট রাহুলকে ২ বছরের কারাবাসের শাস্তি শুনিয়েছে। গুজরাট হাইকোর্টও এই রায় বহাল রেখেছে। এই রায়ের পরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ এবং আগামী ৮ বছরের জন্য যেকোনো নির্বাচনে লড়াই করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যদিও গত ১৫ জুলাই গুজরাট হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন রাহুল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাহুলের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ওই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছেন যাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি লড়তে পারেন। ২১ জুলাই শুক্রবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে। সর্বোচ্চ আদালত রাহুলের এই আবেদন নিয়ে কী রায় শোনাবে তার উপরেই ’২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন