তথ্য প্রমাণ ছাড়া যাঁরা তৃণমূল এবং তাঁকে চোর বলেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন। মঙ্গলবার শ্রীরামপুরের নির্বাচনী জনসভা থেকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি যে সমস্ত সংবাদ মাধ্যম সেই সংবাদ প্রকাশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।
তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে মঙ্গলবার শ্রীরামপুরে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে মমতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “রোজ বলছে তৃণমূল চুরি করেছে। কোথায় চুরি করেছে? কার পকেটে চুরি করেছে জিজ্ঞাসা করুন। হাওয়া তুলে দিয়েছে। চুরি করেছে প্রমাণ কোথায়? আমি আদালতে যাচ্ছি মানহানির মামলা করতে। রোজ সংবাদপত্রে উল্টোপাল্টা বলা। আমি নিজে মামলা করছি।“
মমতা আরও বলেন, “প্রকাশক-প্রচারক নেই, সেই কাগজগুলো টাকা পাচ্ছে, আর ছেপে দিচ্ছে। আমি ছাড়বার পাত্রী নই। আমি এ বার আঁটসাঁট করে ধরব। আমার নামে প্রমাণ নেই, তথ্য নেই আর চোর বানিয়ে দিল! আমি কারও পয়সায় এক কাপ চা-ও খাই না। তাকে বলছে চোর।“
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি সাত বারের সাংসদ ছিলাম, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছি। আমি পেনশন এবং বেতন বাবদ ৩ লক্ষ টাকা পেতে পারি মাসে। ১৩ বছরে কয়েক কোটি টাকা দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু আমি টাকা নিইনি। আমার নিজের সাদা টাকা নিইনি।“
হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “আমার নামে সিবিআই মামলা করেছিল। বদমাইশের গাছগুলো। যে দিন ওদের গাছে বেঁধে ভাল করে আদর করতে পারব, সে দিন বুঝবে মিথ্যা বলার কী দাম।“
এরপরেই বিজেপিকে লুটেরা পার্টি বলে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এদিনের সভা থেকে পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, “কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে কুড়ি হাজার কোটি চুরি করেছে। চুরি করতে গেলে তোদের কাছে করতে যাব কেন? লুটেরা পার্টি একখানা। লজ্জা করে না। পিএম কেয়ার ফান্ডে কত কোটি ঝেড়েছিস? কেউ যদি মনে করে সরকার থেকে বিশ হাজার কোটি তুলব, সেটা কোনও ব্যাপার? আমরা ওই রাজনীতি করি না।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন