বুধবার মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। পাশাপাশি, আরও ১৪ টি রাজ্যের কয়েকটি আসনে উপনির্বাচন। এই আবহে মোট এক হাজার কোটি টাকার নগদ, মাদক, সোনা, রূপা এবং দামি জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সোমবার এমনই পরিসংখ্যান দিল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু মহারাষ্ট্র থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকার নগদ, মাদক ও সোনা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৯৮ কোটি টাকার নগদ, মাদক, সোনা। ২০১৯ সালের থেকে যেটা সাতগুণ বেশী।
কমিশন জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দুই রাজ্য থেকে যত নগদ, মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, এ বার তার থেকে সাত গুণ বেশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেবার নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্র থেকে ১০৩ কোটি টাকার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে ১৮ কোটি টাকার নগদ, মাদক, দামি জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছিল।
কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রের পালঘরে ওয়াদা থানা এলাকায় একটি জিপ থেকে ৩.৭০ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই রাজ্যের বুলধানা জেলায় ৪,৫০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, যার দাম প্রায় ৪.৫১ কোটি টাকা। রায়গড় থেকে ৫.২৯ কোটির টাকার রুপোর পাত উদ্ধার হয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে এবারও বেআইনি খনির কার্যকলাপ বন্ধ করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। রাজমহল নির্বাচনী এলাকায় ২.২৬ কোটি টাকার অবৈধ খনির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত এই দুই রাজ্যে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রাজীব কুমার।
এছাড়া, বাকি ১৪ রাজ্যে যেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই আসন থেকে ২২৩ কোটির নগদ, মাদক এবং সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। অন্যদিকে, গত ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে ছিল প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন। ২০ নভেম্বর সে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ২৩ নভেম্বর দুই রাজ্যের ভোট গণনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন