আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের যে সমস্ত রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তার মধ্যে সর্বনিম্ন জনরোষ লক্ষ্য করা গেছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ঘিরে। এমনকি ছত্তিশগড়ে সবথেকে কম প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা লক্ষ্য করা গেছে। IANS-CVoter অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ট্র্যাকার ম্যাপিং সূচক অনুসারে এই তথ্য সামনে এসেছে। এই তালিকায় ভূপেশ বাঘেলের পরেই আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
উল্লেখযোগ্যভাবে আগামী ১২ মাস বা তারও বেশি সময়ে যে রাজ্যগুলিতে ভোট হবে, তার মধ্যে হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী সহ বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রী এই সূচকে তুলনামূলকভাবে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।
সমীক্ষা অনুসারে, ছত্তিশগড়ের উত্তরদাতাদের মাত্র ৬ শতাংশ বাঘেলের প্রতি ক্ষুব্ধ। যা সারা দেশে সর্বনিম্ন সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, ট্র্যাকার অনুসারে বাঘেল সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্ষমতা-সমর্থক মনোভাব উপভোগ করেন।
গত বছরও একই সময়ে এই সূচক অনুসারে, অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে বাঘেল সেরা পারফরম্যান্সকারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে এসেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
ওই সূচক অনুসারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের প্রতি ৮.৩ শতাংশ উত্তরদাতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এরপর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (৯.৭ শতাংশ), আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (১২.২ শতাংশ), এবং তামিলনাড়ুর এম কে স্টালিন (১২.৬ শতাংশ) রয়েছেন৷
তালিকার একদম নীচে রয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রাজ্যের ৩৫.৪ শতাংশ উত্তরদাতা তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ।
গেহলটের আগে রয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (৩৩.১ শতাংশ), বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (৩২ শতাংশ), হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (৩০.৭ শতাংশ) এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (২৯.৮ শতাংশ)।
যদিও কেজরিওয়ালের অধীনে দিল্লির শাসনের মডেল সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে, কিন্তু ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল কীভাবে প্রতিষ্ঠান বিরোধী মনোভাবকে এত নিম্ন স্তরে রেখেছেন সে সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। অত্যন্ত লো প্রোফাইল বজায় রেখেও তিনি কীভাবে অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ট্র্যাকার ম্যাপিং সূচকে শীর্ষে আছেন তাও বলা হয়নি।
বাঘেল সম্প্রতি সংক্ষিপ্তভাবে শিরোনাম করেছিলেন যখন ছত্তিশগড় সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার নিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। ৩৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে, ভারত জুড়ে IANS/CVoter ট্র্যাকারদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উত্তরদাতাদের মনে বেকারত্বের বিষয়টি শীর্ষে রয়েছে। সাম্প্রতিক সমস্ত সমীক্ষায়, বেকারত্বকে নির্বাচনী রাজ্যগুলিতে সবচেয়ে জটিল সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
IANS/CVoter ট্র্যাকার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে প্রতি ত্রৈমাসিকে ২৫ হাজার জনেরও বেশি উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার নেয়৷ ট্র্যাকারটি ১১টি ভাষায় চালিত হয় এবং প্রতিটি রাজ্যে কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের স্তরগুলিতে নয়টি স্তরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা পরিমাপ করে।
বর্তমান বিশ্লেষণটি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ট্র্যাকার ডেটা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে +/- ৩ শতাংশ এবং আঞ্চলিক স্তরে +/- ৫ শতাংশ ‘মার্জিন অফ এরর’ ধরা হয়েছে৷
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন