নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠা আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। তবে অভিযুক্তদের সরাসরি নোটিশ না পাঠিয়ে দলকে নোটিশ পাঠাল কমিশন। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কমিশনের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে সর্তক করলো কমিশন।
রাহুল গান্ধী এবং নরেন্দ্র মোদী উভয় নেতার বিরুদ্ধেই ঘৃণাভাষণ এবং ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস, চলতি সপ্তাহের শুরুতে। কিন্তু এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তের নাম নরেন্দ্র মোদী বলেই পদক্ষেপ নিতে ভয় পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অবশেষে কংগ্রেসকে ভুল প্রমাণ করে মোদীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল কমিশন। কমিশনের নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে জবাব দিতে হবে দুই দলকেই।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের কাছে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ করেছে কংগ্রেসে। যার মধ্যে অধিকাংশই ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ। কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনকে জানায়, 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ বিদ্বেষপূর্ণ এবং নজিরবিহীন। তিনি বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি করতে চাইছেন। ভারতের একজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এইধরণের কথা শোনা খুবই ভয়ঙ্কর ও নিন্দনীয়। এটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে, জবাব দিতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে'।
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করেছে বিজেপি। হায়দরাবাদে একটি সভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, সরকার গঠন করতে পারলে কাদের কাছে কত সম্পদ আছে তার সমীক্ষা করে দেখা হবে। বিজেপির অভিযোগ, এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাহুল ঘৃণা ছড়াতে চাইছেন। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন