সোমবার বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিশের ডিজি করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের তা বদল করল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার নতুন ডিজি করা হল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। এদিন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিবি গোপালিকাকে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পর সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে সরানো হয়েছিল রাজীব কুমারকে। রাজ্যের কাছে নতুন ডিজি হিসাবে তিনটি নাম পাঠানো হয়। সেই নাম থেকে নতুন ডিজি হিসাবে বিবেক সহায়ের নামে অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের তরফ থেকে আইপিএস বিবেক সহায়, আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও আইপিএস রাজেশ কুমারের নাম পাঠানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার ফের রাজ্যের মুখ্যসচিব গোপালিকাকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যের নতুন ডিজি হিসাবে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে বসানো হচ্ছে। আজ বিকাল ৫ টার মধ্যে রাজ্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেকথা জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে কেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের বদল করা হল ডিজি? জানা গেছে, বিবেক সহায়ের কর্মজীবনের মেয়াদ লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার আগে ৩১ মে শেষ হচ্ছে। তাই বিকল্প হিসাবে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নামে সিলমোহর দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মাত্র একদিন দায়িত্ব নিয়ে আজকেই বিকেলে বিবেক সহায় তাঁর দায়িত্ব সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে হস্তান্তর করবেন।
গত ডিসেম্বর মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রাজীব কুমারকে ডিজি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এর আগে কলকাতা পুলিশের কমিশনার থাকালালীন বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল রাজীব কুমারের। ২০১৩ সালে সারদা মামলায় কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে সারদা মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই।
সেই সময় সিবিআই জানিয়েছিল, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে সারদা-সহ সমস্ত অর্থ লগ্নি সংস্থার টাকা ও সুবিধা কারা ভোগ করেছিলেন সে বিষয়ে তদন্ত করতে হচ্ছে।সারদা তদন্তে শিলংয়ে রাজীব এবং কুণালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
অন্যদিকে, রাজীব কুমারকে সরানো নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে পার্টি অফিস বানানোর অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারির দাবি জানালো দলটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন