নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আদৌ কোনো পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন? তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, মোদীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচারণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ থাকলেও নির্বাচন কমিশনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। প্রার্থীর নাম নরেন্দ্র মোদী হওয়াতেই কি পিছিয়ে যাচ্ছে কমিশন? এই প্রশ্নও তুলছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।
নির্বাচন কমিশনের কাছে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ করেছে কংগ্রেসে। যার মধ্যে অধিকাংশই ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সন্তোষজনক একটিও পদক্ষেপের দেখা মেলেনি। কংগ্রেসের কটাক্ষ, মোদীকে দেখে হয়তো কমিশন পিছিয়ে আসছে। মোদী কি সকল প্রার্থীর ঊর্দ্ধে নাকি সমস্ত নিয়মকানুনের ঊর্দ্ধে? নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনের এই আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
রাজস্থানের নির্বাচনী জনসভায় ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুদের মধ্যে দেশের সম্পত্তি বিলি করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ২২ এপ্রিল মোদীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ বিদ্বেষপূর্ণ এবং নজিরবিহীন। তিনি বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি করতে চাইছেন। ভারতের একজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এইধরণের কথা শোনা খুবই ভয়ঙ্কর ও নিন্দনীয়। এটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে, জবাব দিতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে'।
কংগ্রেস নেতারা আরও জানান, নির্বাচনী সভাগুলিতে গিয়ে মোদী ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণ করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি এই কাজ করতে পারেন না। সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছেন তিনি। বিভাজনের রাজনীতি করছেন।'
এরপর একাধিক নির্বাচনী সভায় এই ধরণের ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনেও মোদীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সবক'টি অভিযোগ থেকেই মুক্তি দেয় মোদীকে। সেই একই ধারা নির্বাচন কমিশন যাতে বজায় না রাখে সেটার আবেদন কংগ্রেসের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন