গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মোট ৬৭৬.২৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর এটি ঘটেছে ১১ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে।
নিউজক্লিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে RTI করেছিলেন লোকেশ বাত্রা (Lokesh Batra) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত নৌ সেনা অফিসার। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) জানিয়েছে, নির্বাচনী বন্ড (EB) বিক্রির ২৩তম পর্বে ৬৭৬.২৬ কোটি টাকা পেয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
RTI-এর উত্তরে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে SBI-র প্রধান শাখা থেকে ৬৬০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড নগদ করেছে (ভাঙিয়েছে) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যেসময়, মুম্বাইয়ের প্রধান শাখা থেকে ৩০৯.৪৫ কোটি এবং নয়াদিল্লির প্রধান শাখা থেকে ২২২.৪০ টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করেছে SBI বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
এর আগে, গত ১ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে (২২ তম পর্বে) ৫৪৫ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছিল দেশের বিভিন্ন SBI শাখা থেকে। একইভাবে, জুলাই মাসে বিক্রি হয়েছিল ৩৮৯.৫০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে প্রথম নির্বাচনী বন্ড চালু করে মোদী সরকার। নির্বাচনী বন্ড থেকে এই বছর (লোকসভা ভোটের আগে) বিজেপির মোট আয় করে প্রায় ২,৩৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬১ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১,৪৫০ কোটি টাকাই এসেছে নির্বাচনী বন্ড থেকে। ওই একই বছরে, কংগ্রেসের মোট আয় ছিল ৫৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৯ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৩৮৩ কোটি টাকা এসেছে নির্বাচনী বন্ড থেকে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মোট নির্বাচনী বন্ডের ৭৬ শতাংশই পেয়েছে শাসক বিজেপি।
যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এই বন্ডগুলি স্টেট ব্যাঙ্ক (SBI) থেকে কিনে চাঁদা হিসাবে তা রাজনৈতিক দলগুলিকে দিতে পারেন। পরে সেই বন্ডগুলি ভাঙিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি।
তবে আশ্চর্যের বিষয় এই নির্বাচনী বন্ডগুলি (চাঁদা হিসাবে) ছাপার জন্য যে খরচ হয়, শেষ পর্যন্ত তা বহন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জানা যাচ্ছে, নির্বাচনী বন্ড ছাপানোর জন্য করদাতাদের ৯.৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে মোদী সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন