অমিত শাহ-র নির্দেশ সত্ত্বেও কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার পুত্রের বিরুদ্ধে লড়তে অনড় রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা সিনিয়র বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা। যা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে কর্ণাটক গেরুয়া শিবির।
বি এস ইয়েদুরাপ্পার পুত্র বিওয়াই রাঘবেন্দ্রকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। কর্ণাটকের শিমোগা লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন তিনি। যার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছেন কে এস ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর দাবি, ২০২২ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময় সেরাজ্যের তৎকালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিএস ইয়েদুরাপ্পা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে কর্ণাটকের হাভেরী আসন থেকে কান্তেশকে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা যায় ঈশ্বরাপ্পার পুত্র কে কে কান্তেশকে হাভেরি আসনের টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির। এরপরই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। ইয়েদুরাপ্পার পুত্রের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে লড়তে চান তিনি।
দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পরই ময়দানে নামেন অমিত শাহ। ফোন করেন ঈশ্বরাপ্পাকে। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দল হিসেবে না লড়ার অনুরোধ জানান অমিত শাহ। কিন্তু তারপরেও বরফ গলার নয়। সেই কেন্দ্রেই নির্দল হিসেবে লড়বেন ঈশ্বরাপ্পা। এখনও সেই সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন তিনি।
এই শিমোগা কেন্দ্রে ২০০৯ থেকে জিতে আসছেন ইয়েদুরপ্পা এবং তাঁর পুত্র। ২০০৯ ও ২০১৯ সালে জিতেছেন বিওয়াই রাঘবেন্দ্র। ২০১৪ সালে জিতেছেন ইয়েদুরাপ্পা। কিছুদিন আগেই রাজনীতি থেকে নিজের অবসর নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। কিন্তু তাঁর পুত্র টিকিট না পাওয়ায় অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ফের রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সময় তাঁর ছেলে কান্তেশ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই সময় জল্পনা তৈরি হয়েছিল, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন ঈশ্বর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিজেপিতেই ছিলেন। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন