ইভিএম নিয়ে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচন কমিশন বিজেপির পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কংগ্রেসের এই অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল। রাজ্যসভায় বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, "ইভিএমে কারচুপির রিপোর্ট খুবই গুরুতর।"
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে এই অভিযোগের জবাব দিতে হবে। "যদি আবর্জনা ফেলার ট্রাকে ইভিএম পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের নির্বাচনী গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে কী ধারণা করা যায়? কমিশনের কাছে কি এর কোনো উত্তর আছে? এটা কি বিজেপি সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে?"
এর আগে অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন, রাজ্য নির্বাচনের ভোট গণনার মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে বারাণসীতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) অবৈধভাবে সরানো হয়েছিল। তার দল একজন আধিকারিকের অন-ক্যামেরা বিবৃতিটি টুইট করেছে এবং স্বীকার করেছে যে সেখানে ‘গাফিলতি’ ছিল।
বারাণসীর কমিশনার দীপক আগরওয়াল স্বীকার করেছেন যে ইভিএম সরানোর সময় পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যে সমস্ত ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেই ইভিএম মেশিনগুলি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ ছিল।
তিনি আরও বলেন, "আপনি যদি ইভিএম সরানোর প্রোটোকলের কথা বলেন, তাহলে প্রোটোকলে ত্রুটি ছিল, আমি তা মেনে নিচ্ছি। তবে আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিতে পারি, ভোটে ব্যবহৃত মেশিনগুলি এভাবে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।" তিনি আরও বলেন, গণনা কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তারক্ষী এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ছিল। "রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এমনকি কেন্দ্রের বাইরেও নজরদারি চালাতে পারেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন