এবার বীরভূমের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ বিজেপির অন্দরে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরকে বীরভূম কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর সেই প্রার্থীকে নিয়েই এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল।
২০১৯-র লোকসভা ভোটে বীরভূম কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়ে হেরে যান দুধকুমার। আর এবার সেই দুধকুমারের গলায় বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে অসন্তোষের সুর। বললেন, এবার স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করলে অ্যাডভান্টেজ পেত বিজেপি। সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীদের কথা না শোনার খেসারত দিতে হবে দলকে।
যদিও প্রাক্তন জেলা সভাপতির এই দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "দুধকুমার প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। তিনি প্রার্থী হলে যেভাবে ঝাঁপাতেন, আশা করব সেভাবেই দেবাশিস ধরের সমর্থনে প্রচার করবেন।''
গত ২১ মার্চ নিজের ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছিলেন দেবাশিস ধর। হঠাৎ করে আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আর তার পদত্যাগের ৯ দিনের মাথায় বীরভূম কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করল বিজেপি। প্রার্থী হওয়ার পর দলের অন্দরের কোন্দল ঢাকতে দেবাশিসের দাবি, তিনি বহিরাগত নন। চাকরী জীবনের সুবাধে দীর্ঘদিন তিনি বীরভূমে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় দেবাশিসকে কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটের দিন শীতল্কুচিতে অশান্তির জেরে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। সেই ঘটনার রেশ ধরে দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। সেই সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিআইডি। এরপর তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছিল।
ওই ঘটনার পর ২০২২ সালে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় দেবাশিস ধরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। কিছু মাস আগে দেবাশিসের সাসপেনশন তুলে নেওয়া হলেও তাঁকে ওয়েটিংয়েই রাখা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন