২১ ডিসেম্বরের পর ১৬ জানুয়ারি। এক মাস হতে বাকি এখনও পাঁচ দিন। এরইমধ্যে তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হল সদ্য দলে আসা গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো লৌরেনকোর। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা বটে। রবিবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। যদিও চিঠিতে দল ছাড়ার কোনও কারণ উল্লেখ করেননি। উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন লৌরেনকো।
বঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারপরে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দাপট দেখাতে পাড়ি দেয় বিভিন্ন রাজ্যে। ত্রিপুরা, মণিপুর, গোয়ার মতো রাজ্যে সংগঠন গড়ার দিকে জোর দেয়। আগামী মাসেই সৈকত রাজ্য গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। গত কয়েক মাস ধরে গোয়ার কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, তৃণমূল দল ভাঙিয়ে নিচ্ছে।
সেই স্রোতে গা ভাসিয়েছিলেন গোয়া কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো লৌরেনকো। কলকাতায় এসে মমতা-অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মাসও সংসার করতে পারলেন না তৃণমূলে।২১ ডিসেম্বর তৃণমূলে যোগ দিয়ে লৌরেনকো তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি দিয়ে দল ছাড়লেন ১৬ জানুয়ারি।
স্পষ্ট করে না হলেও শোনা যাচ্ছে, এর পিছনে রয়েছেন বিজেপি থেকে কংগ্রেসে আসা মাইকেল লোবো। গত ১০ জানুয়ারি কংগ্রেসে যোগ দিয়েই লৌরেনকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন লোবো। তাঁর আমন্ত্রণেই নাকি কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে গোয়ায় তৃণমূলের ইনচার্জ মহুয়া মৈত্র বলেছেন, 'দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো লৌরেনকোর ইস্তফাপত্র আমরা পেয়েছি৷ আরও পাঁচজনের মতো তাঁকেও আমরা দলে স্বাগত জানিয়েছিলাম। এখন তিনি দল ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।' তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
তবে এটাই প্রথম নয়। গত বছর তৃণমূলে যোগ দেওয়া গোয়ার পাঁচ নেতা ২৫ ডিসেম্বর তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েন। ছিলেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক লাভো মামলেদার। তাঁদের অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে গোয়াকে ভাঙতে চাইছে তৃণমূল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন