বিজেপি ভেড়া, ছাগল কেনার মত বিধায়ক কেনা বেচা করেছে গোয়ায়। শুক্রবার এই অভিযোগ করেছেন কর্ণাটক কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। এদিন তিনি গোয়ায় কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে একথা জানান। তিনি আরও বলেন, বিরোধী বিধায়কদের কেনার জন্য জন প্রতি ৩০ কোটি টাকা খরচ করেছে ক্ষমতাসীন দল।
এদিন শিবকুমার বলেন, যে ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন তাঁদের কংগ্রেসে ফেরানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। কোনো অবস্থাতেই তাঁদের কংগ্রেসে জায়গা দেওয়া হবেনা। এটা কংগ্রেসের নীতি।
কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আপনারা দেখেছেন বিজেপি টাকা খরচ করেছে। ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা। এমনকি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কিছু বিধায়ক জানিয়েছেন তাঁদের ৩০ কোটি টাকা করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো এবং কিছু টাকা তাঁদের অগ্রিম হিসেবে ধরানো হয়েছিলো। বিধায়কদের ভেড়া, ছাগলের মত কেনা হয়েছে। গণতন্ত্র কোথায়? এখানে গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে যে ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তারা অনেকেই কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন অথবা যোগাযোগ করেছিলেন। বিজেপি গোয়াতে অপারেশান লোটাস চালিয়েছিলো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একজন দলত্যাগীকেও কংগ্রেসে ফেরানো হবেনা। ১৩ জনের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন। তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। এঁদের কেউ কেউ আমার সঙ্গে দিল্লিতেও দেখা করেছেন। কিন্তু আমরা রাজী হইনি।
তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে আমরা এবার তরুণ মুখদের দাঁড় করিয়েছি। এঁরা সকলেই দলের প্রতি দায়বদ্ধ এবং এঁরা দল ছেড়ে যাবেন না প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি গিরিশ চোদানকার জানিয়েছেন, কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে ৩৬ থেকে ৩৭ জন প্রার্থী দাঁড় করাবে এবং প্রার্থীদের গড় বয়স ৪৮ বছর।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪০ সদস্য বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ঘোষিত হবে আগামী ১০ মার্চ। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২১ আসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন