গোয়ায় ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনের পরে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হওয়া কংগ্রেস এবার যে কোনো মূল্যে গোয়ার ক্ষমতায় আসতে বদ্ধপরিকর। রাজনৈতিক মহলের সূত্র অনুসারে ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে রণকৌশল তৈরি করছে কংগ্রেস। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা ভোট হয়ে গেছে গোয়ায়। গণনা হবে আগামী ১০ মার্চ।
রাজ্যের প্রাক্তন বন্দর মন্ত্রী মাইকেল লোবোর মতে, কংগ্রেস গোয়ায় ক্ষমতায় আসার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী এবং এবার সরকার গঠনের দাবি করার জন্য একটি সময়সীমা আগেই নির্ধারণ করেছে।
লোবো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "কংগ্রেস প্রার্থীরা যারা বিধায়ক হবেন তারা এবার দলত্যাগ করবে না। আমরা রাজ্যের মানুষকে একটি ভাল সরকার দেব। ১০ মার্চ বিকাল ৩ টার মধ্যে ফলাফল বেরিয়ে যাবে এবং বিকেল ৫টার মধ্যে কংগ্রেস সরকার গঠনের দাবি জানাবে।"
তিনি আরও বলেন, "যারা এখন ক্ষমতায় আছে তারা শীঘ্রই বিরোধী হয়ে যাবে... তাদের চিন্তা করার দরকার নেই।"
নিজের বক্তব্যের সঙ্গে লোবো আরও জানান, "তবে তাদের ভাবা উচিত নয় যে আমরা এবার বিভক্ত হয়ে যাব। কেউ বিভক্ত হবে না। আমরা সবাই শক্তিশালী। অন্য দলের পক্ষ থেকেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারা আমাদের স্পষ্টই জানিয়েছে যে তারা অন্য দিকে যেতে চায় না।"
প্রসঙ্গত, লোবো ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একজন বিজেপি বিধায়ক ছিলেন এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসে যোগদান করেন।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পরে, লোবো ছিলেন বিজেপির অন্যতম প্রধান নেতা, যিনি কিছু অ-বিজেপি বিধায়ককে গেরুয়া শিবিরে টেনে আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন এবং প্রয়াত মনোহর পারিকরকে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠনের দাবি করার জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন।
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের পরে, কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যেতে দেরি করার সুযোগে বিজেপি ক্ষমতায় বসে।
গোয়ায় বিজেপির দ্বিতীয় দফার সরকারে বন্দর মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন লোবো। যদিও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলের সদস্যকে অবহেলার অভিযোগ এনে তিনি নির্বাচনের ঠিক মুখে বিজেপি ত্যাগ করেছেন।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন