রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মাস খানেক আগে মন্ত্রী ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গোয়ার বিজেপি নেতা মাইকেল লোবো। রাজনৈতিক মহলের অনুমান নির্বাচনের মুখে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এর আগে গত মাসের শেষের দিকে তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের আর কোনো পার্থক্য নেই।
এদিন সাংবাদিকদের লোবো জানান, আমি বিধায়ক এবং মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমি ভেবে দেখছি আগামীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। আমি বিজেপি থেকেও ইস্তফা দিচ্ছি। আমাকে ভোটাররা জানিয়েছেন, বিজেপি এখন আর সাধারণ মানুষের দল নেই।
যদিও এদিন মাইকেল লোবো কংগ্রেসে যোগ দেবার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি যে দলেই যান তাঁর লক্ষ্য হবে আগামী নির্বাচনে সেই দলের হয়ে যত বেশি সম্ভব আসনে জয় ছিনিয়ে আনা।
মাইকেল লোবোর ইস্তফা এবং বিজেপি ত্যাগে গোয়ার বারদেশ অঞ্চলে সমস্যায় পড়তে পারে বিজেপি। এই অঞ্চলে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬। যার মধ্যে মাইকেল লোবোর আসন কালাঙ্গুটেও আছে। এদিন লোবোর ইস্তফার পর গোয়ার ৪০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ২৪।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। আগামী ১০ মার্চ নির্বাচনের ভোটগণনা। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হলেও তাকে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। যা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগে তোলপাড় হয় রাজনৈতিক মহল।
গত মাসের ২৮ তারিখ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাইকেল লোবো জানিয়েছিলেন, "বিজেপি একটি অন্যরকম দল হিসাবে পরিচিত ছিল। ইদানীং দেখা যাচ্ছে যে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিজেপির আর কোনো পার্থক্য নেই। পার্টিতে এখন কর্মীদের কোনো গুরুত্ব নেই।" তিনি আরও বলেন, "পার্রিকরের নির্বাচিত প্রার্থীদের পার্টি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলেরই মধ্যে কিছু গোষ্ঠী আছে, যারা মনোহর পারিকরের শুভাকাঙ্ক্ষীদের চায় না, যারা দলের মধ্যে তাদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন