ভোটের বাজারে তৃণমূল বিশ্বস্ত জোটসঙ্গী নয়। সাফ জানিয়ে দিল কংগ্রেস। চলতি বছরেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আগামী মাসেই বিধানসভা নির্বাচন গোয়ায়। সেখানে জোট করার প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের জাতীয় সহ-সভাপতি পবন ভার্মা।
হাত শিবিরের বক্তব্য, জাতীয় স্তরে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের হাত ধরতে চাইছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো কয়েক সপ্তাহ আগে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, অতীত ভুলে ২০২২ সালে নতুন ভাবে শুরু করতে চান তিনি। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে এব্যাপারে জানাবেন বলে জানান সোনিয়া।
কিন্তু এখনও দলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, কংগ্রেস দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানালেও কিছুই এগোয়নি। কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক এই মুহূর্তে কার্যত তলানিতে।
অন্যদিকে, জোট গড়তে রাজি না হওয়ায় কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষারোপ করেন পি চিদম্বরমকেও। তৃণমূলের সহ-সভাপতি পবন ভার্মা জোটের প্রস্তাব দিতে গত ২৪ ডিসেম্বর পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখাও করেন। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে কোনও উত্তরই মেলেনি। চিদম্বরমকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, 'চিদম্বরম দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।'
অভিষেকের বক্তব্য, গোয়ার নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির পক্ষে গেলে চিদম্বরমের উচিত প্রকাশ্যে এসে এর দায় নেওয়া। এমনকি তিনি বলেছিলেন - "কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানেই বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়া। কংগ্রেস এখন বিজেপিকে চালাচ্ছে, আর বিজেপি কংগ্রেসকে চালাচ্ছে। কংগ্রেসের কোনও নীতি নেই।"
লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য, জাতীয় রাজনীতিতে একঘরে হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করার দাবি আসলে নাটক ছাড়া কিছুই নয়। তৃণমূল গভীর হতাশা থেকে সোনিয়া গান্ধীর কাছে গিয়েছে। কংগ্রেসের সূত্রের খবর, গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করতে চায় না। তারা নিজেরা জয়ের বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন