প্রথমবার গোয়ার রাজনীতিতে পা রেখে সাড়া ফেলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেক নামী নেতাই তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও পরে তাঁদের মোহভঙ্গ হয়। কিন্তু তৃণমূল লড়াই দেবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। যদিও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ অন্য হয়ে দাঁড়ায়।
বৃহস্পতিবার ভোটের ফল প্রকাশিত হতে দেখা যায় কার্যত ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। ভোটের আগে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে দহরম মহরম দেখা যায় ঘাসফুলের। সেই দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে গোয়ার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচনে একা কোনও আসন পাননি তৃণমূল প্রার্থী।
এদিকে বিজেপি পেয়েছে ২০টি আসন। ফলপ্রকাশের পরেই বিজেপি জানিয়ে দিল যে, এমজিপিকে সঙ্গে নিয়ে তারা সরকার গড়তে চলেছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও একই কথা জানিয়েছেন।
কিন্তু বিজেপির এই ঘোষণা শুনে আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে তৃণমূলের। এদিকে এমজিপি পেয়েছে ২টি আসন। তারা যদি বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ে, তাহলে বিজেপির পক্ষই সরকার গঠন আরও সহজ হয়ে যাবে। শোনা যাচ্ছে, এই মর্মে বিজেপিকে চিঠিও পাঠিয়েছে এমজিপি। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। এনিয়ে এখনই মন্তব্য করব না।'
ফড়নবিশ জানিয়েছেন, 'আমরা আগেই বলেছিলাম ২১টি আসন পেলেও আমরা অন্যদের সঙ্গে নিয়ে চলব। এমজিপি আমাদের সমর্থন করবে বলে চিঠি দিয়েছে। এমজিপিকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা ২৫টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করব।'
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তিনজন নির্দল প্রার্থী তাদের সমর্থন করছেন। তবে এখনও পর্যন্ত একজন নির্দল প্রার্থী চন্দ্রকান্ত শিটে প্রকাশ্যেই বিজেপিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু অপর দুজনের প্রকাশ্য মতামত জানা যায়নি। ফড়নবিশ জানিয়েছেন, আজ অথবা কাল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গোয়ায় পৌঁছলে মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন