গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে হেরে একেবারে ভরাডুবি অবস্থা তৃণমূলের। যথেষ্ট আড়ম্বর সহকারে ছোট্ট রাজ্যে পা রেখেছিল ঘাসফুল। শুরুতেই তাবড় নেতারা যেভাবে তৃণমূলে যোগদান করছিলেন, তাতে মনে করা হয়েছিল সেরাজ্যে দাপট দেখাবে তৃণমূল। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে, ততই রাজনীতির পালাবদল হয়েছে।
নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর একের পর এক খারাপ খবর আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জন্য। সেখানে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম ছিল লিয়েন্ডার পেজ। তিনি গোয়ায় তৃণমূলে যোগদান করে প্রচারেও নেমেছিলেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি কার্যত। ফলপ্রকাশ হতে দেখা গেল একেবারে আশানুরূপ হয়নি। মোহভঙ্গ হতে নির্বাচনের আগেই অনেকে দল ছেড়েছিলেন। এবার ফের দলত্যাগের পালা শুরু হল।
গোয়ার মার্গাও কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মহেশ এস আমনকার। বলাই বাহুল্য বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। গোয়া তৃণমূলের সভাপতির কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কারণ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি শুধু দলের পদ থেকে নয়, পার্টির সাধারণ সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছেন।
ইস্তফাপত্রে কী লিখেছেন মহেশ? চিঠিতে লিখেছেন, আমাকে ঠিকঠাক সমর্থন করেনি। বরং অবহেলাই করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি তিনি প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক টিমকেও নিশানা করেছেন। নির্বাচন চলাকালীন তিনি যথেষ্টভাবে আইপ্যাকের সমর্থন পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, কার্যত দল পাশে ছিল না।
ভোটে হেরে দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের নিশানা তুলে দল ছাড়ার ঘটনায় তৃণমূলের যে অস্বস্তি বাড়বে, তা বলাই যায়। এসবের জেরে প্রশ্ন উঠছে, বাংলা থেকে দলে দলে তৃণমূল নেতৃত্ব গোয়ায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন। পর্যবেক্ষক হন মহুয়া মৈত্র। তাঁরা গোয়ায় গিয়ে কী করেছেন?
এবার গোয়া বিধানসভা ভোটে একেবারে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তৃণমূলকে। একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করেছিল। কিন্তু দুটি আসন পেয়ে এমজিপি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিকে সমর্থন করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে বিজেপির পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন