এবার প্রথম ছোট্ট রাজ্য গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত কয়েক মাস ধরে সেখানে রাজনীতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। সেখানে তুমুল টক্কর চলছে। বঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বাইরে পা রাখে তৃণমূল। গোয়ায় বিস্তার বৃদ্ধি করতে চেষ্টার কসুর করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু তাবড় নেতাই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।
যদিও অনেকেরই পরে মোহভঙ্গ হয়। তাঁরা আবার তৃণমূল ছেড়ে দেন। এবার নির্বাচনের ফল বেরোতে দেখা গেল কার্যত ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। প্রাথমিকভাবে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ম্যাজিক ফিগার পার করে ফেলেছিল। পরে অবশ্য কিছুটা হাওয়া লেগেছে কংগ্রেসের পালে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) জোট বেশ কয়েকটি আসনে এগিয়ে আছে। ফলে এই জোটই কিংমেকার হতে চলেছে বলে সেই রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে বিজেপি ২২টি আসনে এগিয়ে আছে। বিজেপি যখন ১৮টি আসনে গিয়েছিল, কংগ্রেস তখন ১২টি আসনে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) পাঁচটি আসনে এগিয়ে। তবে কোনও আসনেই তৃণমূলের একক প্রার্থী এগিয়ে নেই। তিভিম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কবিতা কন্ডোলকর আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, সাঙ্কেলিম বিধানসভা কেন্দ্রে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত পিছিয়ে পড়েছেন অনেকটাই। ৩১৭ ভোটে এগিয়ে আছেন কংগ্রেস প্রার্থী ধর্মেশ সাগলানি। নিজের আসনেই সম্ভবত হারতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আপ এগিয়ে একটি আসনে। এগিয়ে আছেন গোয়ার বিদায়ী মন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন