গুজরাটে নির্বাচনী ইস্তেহার (Elections manifesto) প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। শনিবার, আমেদাবাদে একটি অনুষ্ঠানে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন বিজেপির নেতারা। তবে, গেরুয়া শিবিরের তরফে এটিকে ইস্তেহার না বলে -‘সংকল্প পত্র’ (Sankalp Patra 2022) বলা হয়েছে।
গুজরাটের ভোটারদের মন পেতে আগামী পাঁচ বছরে ২০ লক্ষ চাকরী, ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার পাশাপাশি ইলেক্ট্রিক স্কুটি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
জানা যাচ্ছে, বিজেপির সংকল্প পত্রে মোট ৪০টি আলাদা আলাদা ‘সংকল্পে’র কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে - ৫ লক্ষ কোটির বিদেশি বিনিয়োগ, ২৫ হাজার কোটির সেচ প্রকল্প, গোশালার উন্নতির জন্য ৫ হাজার কোটি বরাদ্দ।
এছাড়া, বিজেপির সংকল্প পত্রে সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয়তাবাদ এবং হিন্দুত্বের বীজ। গুজরাটে ক্ষমতায় এলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি।
শুধু তাই নয়, ‘চরমপন্থিদের শায়েস্তা’ করতে আলাদা বিভেদ দমন কমিটিও গড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ইশতেহারে। বলা হয়েছে, এই বিভেদ দমন কমিটির কাজ হবে দেশবিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি দেওয়া।
মন্দিরের সংস্কার, সম্প্রসারণ এবং তা প্রচারের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি।
জানা যাচ্ছে, বিজেপির সংকল্প পত্রে, ২০৩৬ সালে গুজরাটে অলিম্পক গেমস আয়োজনের টার্গেট নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই লক্ষ্য পূরণে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ২০,০০০ সরকারি স্কুলকে উৎকর্ষের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য, খরচ করা হবে ১০,০০০ কোটি টাকা।
এছাড়া, গুজরাটকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরার পাশাপাশি, আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় পরিবারপিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ করার ঘোষণা করা হয়েছে সংকল্প পত্রে।
ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ছাড়াও, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ও গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাটিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন