গুজরাটে নির্বাচনের মুখে কংগ্রেসে যোগ ক্ষুব্ধ প্রাক্তন BJP মন্ত্রীর

ব্যাস বলেন, "৩২ বছর ধরে BJP করছি। কিন্তু বিজেপিতে দুটো বটগাছ আছে, যাঁরা অন্য কোনও নেতাকে বাড়তেই দেয়নি। গুজরাট যদি এই দুই নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়, আমি মনে করি তা রাজ্যের স্বার্থের জন্য ভালো নয়।"
মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অশোক গেহলটের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন জয় নারায়ণ ব্যাস
মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অশোক গেহলটের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন জয় নারায়ণ ব্যাসছবি সংগৃহীত
Published on

কংগ্রেসে যোগ দিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা জয় নারায়ণ ব্যাস। চলতি মাসের শুরুতে সপুত্র বিজেপিতে ছেড়েছিলেন সিনিয়র এই রাজনীতিবিদ। আগামী ১ ডিসেম্বর গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনা গুজরাট বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের উপস্থিতিতে আহমেদাবাদের রাজীব গান্ধী ভবনে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা জয় নারায়ণ ব্যাস এবং তাঁর ছেলে সমীর ব্যাস। গত ৫ নভেম্বর বিজেপি ছেড়েছিলেন জয় নারায়ণ ব্যাস। ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, তখন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন ব্যাস।

 এদিন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সময় ব্যাস বলেন, কয়েক দশক বিজেপি করার পরও এখনও গেরুয়া শিবিরে তাঁকে কেবল অভিযোগকারী হিসেবেই দেখা হয়। যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি তাঁকে।

কংগ্রেসে তাঁর অন্তর্ভুক্তির জন্য খাড়গে এবং গেহলটকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যাস বলেন, "নর্মদা সহ গুজরাটের সমস্ত সেচ প্রকল্পগুলি ১৯৬০ সালের আগে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।"

নর্মদা বাঁধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ব্যাস বলেন, "১৯৬২ সালের ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু নর্মদা বাঁধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিজেপি যে বর্ণনা করেছে, তা ভুল। পন্ডিতজি যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তা নাভাগাম বাঁধের জন্য, যা ২৪০ ফুট উঁচু। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি নর্মদা বাঁধের ৭৫ শতাংশ কংক্রিটের কাজ, মাটির নিচের কাজ - সবকিছুই কংগ্রেস শাসনামলে হয়েছিল। অমরসিং চৌধুরীর আমলে এই কাজ শুরু হয়েছিল এবং সনৎ মেহতা, চিমনভাই প্যাটেলের আমল পর্যন্ত এর কাজ হয়েছে।"

গুজরাটে প্রথম আধুনিক রাস্তা নির্মাণের কৃতিত্বও কংগ্রেসকে দিয়েছেন ব্যাস।

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাঁদের কটাক্ষ করে ব্যাস বলেন, "৩২ বছর ধরে বিজেপি করছি। কিন্তু বিজেপিতে দুটো বটগাছ আছে, যাঁরা অন্য কোনও নেতাকে বাড়তেই দেয়নি। আপনারা জানেন বটগাছের নিচে কিছুই জন্মে না। গুজরাট যদি এই দুই জাতীয় নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হয়, আমি মনে করি তা রাজ্যের স্বার্থের জন্য ভালো নয়।"

ব্যাসের ছেলে সমীর ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিদ্ধপুরের এগ্রিকালচার প্রডিউস মার্কেট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in